আসানসোলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
আজ, শুক্রবার আসানসোল পুরসভায় ১০৬ জন কাউন্সিলরের শপথ নেওয়ার কথা। আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠের অনুষ্ঠান শুরু করবেন জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) এস অরুণ প্রসাদ। এ দিকে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় রবীন্দ্র ভবনের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ করার কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার নির্বাচিত ১০৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৭৫ জনই প্রথম বার কাউন্সিলর হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেসের যথাক্রমে ৬৫ জন, পাঁচ জন, এক জন এবং নির্দল ও সিপিএমের দু’জন করে নতুন কাউন্সিলর রয়েছেন। বিধানসভাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, আসানসোল উত্তর বিধানসভা এলাকায় ৩২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২১ জন, আসানসোল দক্ষিণে ২২ জনের মধ্যে ১৭ জন, কুলটির ২৮ জনের মধ্যে ১৯ জন, জামুড়িয়ায় ১৩ জনের মধ্যে ১০ জন ও রানিগঞ্জে ১১ জনের মধ্যে আট জন নতুন কাউন্সিলর। পুরসভার ১০৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস কাউন্সিলর রয়েছেন যথাক্রমে ৯১টি, সাতটি, তিনটি। বামেদের দু’জন ও নির্দল তিন জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
আসানসোলের পুর-কমিশনার নীতীন সিংহানিয়া বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই, পুর-ভবনে কাউন্সিলরদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নীতীন বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত চেয়ারম্যান ও মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন জমা করার সময়সীমা ধরা হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যান ও মেয়র পদের জন্য যথাক্রমে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও বিধান উপাধ্যায় ছাড়া, আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি।” ফলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওই দু’জন জয়ী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে জানান, বৃহস্পতিবার তাঁদের সাত কাউন্সিলর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তবে তাঁর সংযোজন: “যে ভাবে ভোট লুট করে পুরসভার ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল, তার প্রতিবাদ জানাতে আমরা শপথ গ্রহণের সময় রবীন্দ্র ভবনের বাইরে বিক্ষোভ-কর্মসূচিও পালন করব।” তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, “শুভ অনুষ্ঠানে বাগড়া দেওয়াটাই বিজেপির কাজ।”
পাশাপাশি, কোভিড-বিধি মেনে রবীন্দ্র ভবনের বাইরে ও ভিতরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। গিয়েছেন কমিশনারেটের ডিসি (সদর) অংশুমান সাহা ও ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী পুরো ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেছেন। অভিষেক বলেন, “শপথ গ্রহণের প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন হয়েছে।” পুর-কমিশনার নীতীন জানান, কোভিড-বিধি মেনে, প্রতি কাউন্সিলর পিছু দু’জন করে অতিথি প্রেক্ষাগৃহে ঢুকতে পারবেন। এ ছাড়া, সংবাদমাধ্যম ও বিশেষ অতিথিদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো অনুষ্ঠানটি আমন্ত্রণমূলক করা হয়েছে। তবে সাধারণের সুবিধার কথা ভেবে রবীন্দ্র ভবনের বাইরে ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’ বসানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy