Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Sit in Protest

গারুই সংস্কারে গাফিলতির অভিযোগ, অবস্থানে জিতেন্দ্র

আসানসোল রেলপারের নাগরিকদের স্বার্থে গারুই সংস্কারের আর্জি নিয়ে অবস্থানে বসেছেন বলে দাবি জিতেন্দ্রর।

আসানসোলের গারুই নদী (বাঁ দিকে), আসানসোলে অবস্থানে জিতেন্দ্র তিওয়ারি (ডান দিকে)।

আসানসোলের গারুই নদী (বাঁ দিকে), আসানসোলে অবস্থানে জিতেন্দ্র তিওয়ারি (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ১০:০৩
Share: Save:

গারুই নদী সংস্কারের নামে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত হচ্ছে, অভিযোগ আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির। গারুই সংস্কার-সহ নানা নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার দাবিতে সোমবার ১২ ঘণ্টার বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচি করলেন জিতেন্দ্র। এই কর্মসূচি লোকদেখানো দাবি করে মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, গত তিন বছর ধরে গারুই সংস্কারের কাজ চলছে।

প্রতি বছর বর্ষায় বিপজ্জনক হয়ে ওঠে আসানসোলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গারুই নদী। নদীর দু’কূল ছাপিয়ে বিস্তীর্ণ লোকালয় প্লাবিত হয়। আশপাশের এলাকার বাড়ি-ঘড়ে জল ঢুকে যায়। এলাকাবাসীর অনেকের অভিযোগ, নিয়মিত সংস্কারের অভাবে নাব্যতা কমে যাওয়া এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপথে বাধা— এই দুই কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আসানসোল রেলপারের নাগরিকদের স্বার্থে গারুই সংস্কারের আর্জি নিয়ে অবস্থানে বসেছেন বলে দাবি জিতেন্দ্রর। তাঁর অভিযোগ, ২০২২ সালের পুরভোটের পরে তৃণমূলের ক্ষমতাসীন বোর্ড গারুই সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দু’বছর পেরিয়ে গেলেও সেই কাজ শেষ হয়নি। ফলে, বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি। গত তিন বছর ধরে গারুই শহরের অনেক ক্ষতি করেছে। পাঁচ জন জলের তোড়ে ভেসে মারা গিয়েছেন। জিতেন্দ্রের দাবি, ‘‘প্রতি বছর গারুই সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। সংস্কারের নামে লোকদেখানো কাজ হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘গারুই সংস্কারের জন্য পাওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা পকটে ভরছেন তৃণমূলের নেতারা। ফের গারুইয়ের প্লাবনে মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হলে পুরবোর্ডকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।’’ রেলপার এলাকায় রাস্তা, পথবাতি, পানীয় জল, সাফাই, নিকাশির মতো নাগরিক পরিষেবাও বেহাল বলে দাবি তাঁর।

মেয়র বিধানের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘উনি যখন মেয়র ছিলেন তখন গারুই সংস্কারে বিন্দুমাত্র ভূমিকা নেননি। গত পুরভোটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পালন করা হচ্ছে।’’ তিনি দাবি করেন, সেচ দফতরের তরফে একাধিক বার নদী পর্যবেক্ষণ করে বিশদ প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। নদীর আটটি বিপজ্জনক এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে মাটি তোলার কাজ চলছে। আগের তুলনায় নদীর নাব্যতা বেড়েছে। যে সব অঞ্চলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ আটকে অবৈধ নির্মাণ তোলা হয়েছে, সেগুলি উচ্ছেদের কাজ চলছে। রেলপারের যে ক’টি লোকালয়ের মাঝখান দিয়ে নদী বয়েছে, সে সব অঞ্চলে দু’পাশে পাঁচিল তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। বিধান বলেন, ‘‘এই কাজ দ্রুত করা সম্ভব নয়। কাজ শুরু হয়েছে, তা এলাকায় গেলেই দেখা যাবে। কেউ কেউ লোকদেখানো আন্দোলন করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Asansol Jitendra Tiwari
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy