Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ecl

ইসিএলের আবাসন ‘দখল’ করে কার্যালয়

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অমৃতনগর কোলিয়ারি এলাকায় ২০১৯-এর ১৫ অগস্ট পরিত্যক্ত একটি আবাসনে দলীয় কার্যালয় চালু করা হয়।

BJP Party Office

বিতর্ক এখানেই। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৬
Share: Save:

রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলক সংস্থা ইসিএলের পরিত্যক্ত একটি আবাসনে বিজেপির দলীয় কার্যালয় চলছিল। শনিবার সেটি ফের আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে চালু করা হয়। অমৃতনগর কোলিয়ারি এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে কার্যালয়টি বন্ধ করতে গিয়েছিলেন অমৃতনগর কোলিয়ারির এজেন্ট ও পার্সোনেল ম্যানেজার। কিন্তু খোদ অগ্নিমিত্রা পাল এটিকে ‘বিধায়ক কার্যালয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে বাধ্য হন খনি-কর্তারা। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও। তৃণমূল বিষয়টিকে বিধায়কের নেতৃত্বে আবাসন দখলের ঘটনা বলে অভিযোগ করেছে।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অমৃতনগর কোলিয়ারি এলাকায় ২০১৯-এর ১৫ অগস্ট পরিত্যক্ত একটি আবাসনে দলীয় কার্যালয় চালু করা হয়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে কার্যালয়টি বন্ধ করে দেয় বিজেপি। শনিবার অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে কার্যালয়টি ফের খোলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা।

এ দিকে, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে চলে আসেন অমৃতনগর কোলিয়ারির এজেন্ট রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কোলিয়ারির পার্সোনেল ম্যানেজার দীনবন্ধু মণ্ডল। দু’জনেই বিধায়ককে জানান, কোনও ভাবেই তাঁরা সংস্থার আবাসন দখল করে কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয় চালাতে দেবেন না। দুই খনি আধিকারিকের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিল ইসিএলের সিআইএসএফ এবং রাজ্য পুলিশও। তবে সবার সামনেই অগ্নিমিত্রা অভিযোগ করেন, “সংস্থার জায়গায় স্থানীয় প্রশাসন ও ইসিএলের মদতেই ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়’ বাড়ি তৈরি হয়েছে। আগে সেই অবৈধ বাড়িগুলি ভাঙুক ইসিএল।” পাশাপাশি, তাঁর বক্তব্য, “এটি আমাদের কার্যালয় ছিল ও থাকবে। তবে রাজনৈতিক কাজে নয়। এটি বিধায়ক কার্যালয় হিসেবে চালু থাকবে। যত দিন না অন্য অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে তত দিন আমরাও এই আবাসন ছাড়ব না।”

তবে রাজকুমার ও দীনবন্ধু বার বার জানাতে থাকেন, তাঁরাও এ ভাবে কোনও কার্যালয় চলতে দেবেন না। এর পরে, বিজেপি কর্মীরা ওই দুই আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এর পরেই ওই দুই খনিকর্তা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

বিষয়টি নিয়ে তবে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের প্রতিক্রিয়া, “খোদ বিধায়কের নেতৃত্বে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার আবাসন দখল চলছে। অতএব, বোঝাই যাচ্ছে, কারা অবৈধ সব কিছুর সমর্থন করে।” যদিও বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ইসিএল, রেল, ইস্কো-সহ নানা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জমি দখল করে তৃণমূলের কার্যালয় চলছে জেলার নানা প্রান্তেই। অভিযোগে আমল দেয়নি তৃণমূল।

এ দিকে, রাজকুমার বলেন, “আমরা জানিয়ে দিয়েছি, কোনও ভাবেই দখল মানা হবে না। ওই এলাকায় অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবেই।”

অন্য বিষয়গুলি:

ecl BJP Agnimitra Paul
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy