Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

নানা অশান্তির ওয়ার্ডে ভোটে এগিয়ে বিজেপি

পুরো এলাকা জুড়ে টালি-অ্যাসবেস্টস-টিনের ছাউনি দেওয়া ঘর। কয়েকটি মাটির বাড়ি। তার মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি পাকা বাড়ি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। তার মধ্যেই একটি পূর্ণেন্দুবাবুর।

ঘটনার পরে বর্ধমান থানা ঘেরাও তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র

ঘটনার পরে বর্ধমান থানা ঘেরাও তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ০১:৪৭
Share: Save:

বেচারহাট কলোনির সামনে দিয়ে গিয়েছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। বড়নীলপুর বটতলা থেকে গলি দিয়েও ঢোকা যায় সেখানে। ভোট মেটার মাসখানেক পরেও গলি, বড় রাস্তায় চোখে পড়ে বিজেপির পতাকা। বুধবার এই এলাকাতেই ঝুলন্ত দেহ মেলে তৃণমূল কর্মী পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের।

পুরো এলাকা জুড়ে টালি-অ্যাসবেস্টস-টিনের ছাউনি দেওয়া ঘর। কয়েকটি মাটির বাড়ি। তার মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি পাকা বাড়ি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। তার মধ্যেই একটি পূর্ণেন্দুবাবুর। শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকার মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এক মহিলার দাবি, ‘‘প্রথম যে দিন টাকা ফেরত চেয়ে ওই নেতার বাড়িতে হামলা হয়, সে দিন উনি ঘরের জন্যে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। টারা ফেরত দেব বলেছিলেন। কিন্তু যে দিন দেওয়ার কথা তার আগেই পালিয়ে গেলেন।’’

কয়েকদিন আগে ‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে বড়নীলপুর এলাকায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পম্পা পালের স্বামী অনন্ত পালকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল বর্ধমান থানা ঘেরাও করে বিজেপির নামে অভিযোগ করে। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারও করে। সোমবার রাতেও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় কাগজে লাল কালি দিয়ে ‘তোলাবাজির টাকা সনৎ ফেরৎ দে’ বলে পোস্টার পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সনৎ বক্সির নামেই পোস্টার। যদিও অভিযোগ মানেননি নেতা।

লোকসভা ভোটের ফলে এই সব ওয়ার্ডেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেও বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২১৫২ ভোটে। এলাকার এক বিজেপি নেতার দাবি, “মানুষ ভোট দিলেও সংগঠন গড়ে ওঠেনি। এলাকার দখলও আমাদের হাতে নেই। তৃণমূলের সমর্থকেরাই নেতাদের কাটমানি দিয়েছিলেন। তাঁরাই টাকা ফেরত চেয়ে হামলা চালাচ্ছে।’’ এলাকারই এক বৃদ্ধার অভিযোগ, “ঘর দেব বলে আমার ছেলেকে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিল। ছেলে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল। বছর পার করেও টালির চাল পাকা হল না।’’ মৃত নেতার এক পড়শির দাবি, “ভাইকে পুরসভার অফিসার সাজিয়ে শালবাগান থেকে ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন উনি।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বসে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল ওই নেতার। সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে জড়ো হন অনেকে। মৃতের স্ত্রী সন্ধ্যাদেবীর অভিযোগ, পূর্ণেন্দুবাবুকে দেখতে না পেয়ে হুজ্জুতি করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয় তাঁদের। তালা ঝোলানো হয় বাড়িতে। খবর পেয়ে ফিরছিলেন ওই নেতা। বাড়ি ফেরার আগেই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর বিভূতিভূষণ মণ্ডলের দাবি, “পূর্ণেন্দুবাবু দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ওঁর বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। হঠাৎ করে বিজেপির কয়েকজন ওঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে শুনলাম।’’

বিজেপি অভিযোগ মানেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 BJP TMC Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy