বাঁ দিকে, এই বাসের কাছে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ডান দিকে, বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের নালিশ। নিজস্ব চিত্র
সুচপুর গণহত্যার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে বীরভূমের নানুরের বাসাপাড়ায় শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। সেখানে যোগ দিয়ে ফেরার পথে পূর্ব বর্ধমানে কেতুগ্রামের তিলডাঙায় দলীয় কর্মীদের বাসে হামলা চালিয়েছে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূলের। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তাদের কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কেতুগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, নানুরের ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা এই দুই জেলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই কেতুগ্রামের দু’টি ব্লক থেকে মোট ২৫টি বাসে করে কর্মীরা নানুরে যান। তার মধ্যে পালিটা থেকে গিয়েছিল দু’টি বাস। তৃণমূলের অভিযোগ, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে বাঁশরা গ্রাম ঢোকার ঠিক আগে তিলডাঙার কাছে বাস তাক করে পরপর কয়েকটি বোমা ছোড়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা লালন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘‘বোমা ছুড়ে বাস থামিয়ে আমাদের মারধরের পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। পুলিশ চলে আসায় মারধর করতে পারেনি।’’ তৃণমূলের আরও অভিযোগ, রবিবার সকালেও পালিটা পঞ্চায়েতের তিলডাঙা, বাঁশরা, ভবানীবেড়া-সহ নানা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলের লোকজনকে ভয় দেখিয়েছে বিজেপি। দোকানপাটও জোর করে বন্ধ করে রাখা হয়।
যদিও তৃণমূলের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা অনিল দত্ত। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘পালিটা অঞ্চলের কপিল মাঝি, খাজু থান্দার, গোপাল হাজরা, সোমু রায় নামে আমাদের দলের কয়েক জন কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল।’’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন: ‘‘তৃণমূল কর্মীদের বাসে হামলা চালায়নি আমরা। কাউকে দোকান খুলতে বাধা বা ভয় দেখানোও হয়নি।’’ তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিজেপির এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কেতুগ্রাম থানার পুলিশ অবশ্য জানায়, রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy