Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Jamuria

অসন্তোষে ‘ক্ষতি’, বন্ধ বিস্কুট কারখানা

শ্রমিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে কারখানায় মাসে দশ দিনের বেশি উৎপাদন হয় না। প্রায় ৪৫০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করেন।

বিস্কুট কারখানায় সমস্যা।

বিস্কুট কারখানায় সমস্যা। প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ০৯:৫৫
Share: Save:

শ্রমিক অসন্তোষের জন্য আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এমন কারণ দেখিয়ে বুধবার জামুড়িয়ার নিঘার কাছে একটি বেসরকারি বিস্কুট কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিলেন কর্তৃপক্ষ। উপশ্রম আধিকারিক (আসানসোল) অমিয় দাস জানান, আগামী সোমবার কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করে আলোচনার মাধ্যমে কারখানাটি চালু করার চেষ্টা করা হবে।

শ্রমিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে কারখানায় মাসে দশ দিনের বেশি উৎপাদন হয় না। প্রায় ৪৫০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করেন। তাঁদের অভিযোগ, মাসে মাত্র আট-দশ দিন কাজ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৬ দিনের অর্ধেক মজুরি দেওয়া হয়। চিকিৎসাজনিত কোনও সুযোগ কার্যত নেই। এ সব অভিযোগে শ্রমিকদের একাংশ ৯ মে সকাল থেকে উৎপাদনের কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তার জেরে সব শ্রমিকই কাজ বন্ধ করে দেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও আগাম বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই এই পদক্ষেপ করা হয়। এর ফলে, কারখানার প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁরা ১০ মে থেকে কারখানা বন্ধ করে দিলেন। কারণ এই পরিস্থিতিতে কারখানা চালানো সম্ভব নয়। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকবে।

কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরে সিটু নেতা তাপস কবি, আইএনটিটিইউসি নেতা প্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায়েরা জানান, কর্মীরা ৯ মে কোনও শ্রমিক সংগঠেনের ব্যানার ছাড়াই আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু কাজ বন্ধ করেননি। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে, মিথ্যা অভিযোগ করে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন।

যদিও, কারখানার আধিকারিক অভয় মাজি জানান, পশ্চিম বর্ধমানে বিস্কুট শিল্পে সঙ্কট চলছে। কয়েক বছরের মধ্যে কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের কারখানা বছরখানেক একটি আন্তর্জাতিক বিস্কুট সংস্থার হয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিস্কুট তৈরি করছিল। কিন্তু তাতে দশ দিনের বেশি কাজ থাকছে না। ফলে কর্মীদের মাসে দশ দিনের বেশি কাজ দেওয়া যাবে না। কিন্তু তার পরেও, বাকি ১৬ দিনের অর্ধেক বেতন দেওয়া হচ্ছে। অভয়ের সংযোজন: “কারখানার পরিস্থিতির কথা জেনেও কয়েক জন মিলে যদি কর্তৃপক্ষকে পাত্তা না দিয়ে জোর করে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে পারেন, তা হলে তাঁরা বার বার কারখানায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে পারেন। তাই স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে না আসা পর্যন্ত কারখানা চালানো সম্ভব নয়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Jamuria Biscuit Factory
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy