আসানসোল হাসপাতালে চিকিৎসকদের গাড়ি রাখার জায়গায় চলছে রোগী দেখা। শনিবার সকালে। নিজস্ব চিত্র
এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদে বাইরে বসে বহির্বিভাগের রোগী দেখলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। শনিবার সকালে সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রথমে হাসপাতাল চত্বরে মিছিল করেন। পরে চিকিৎসকদের গাড়ি রাখার জায়গায় ম্যারাপ বেঁধে টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসে রোগী দেখেন। হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘চিকিৎসা পরিষেবায় কোনও রকম ব্যাঘাত ঘটেনি।’’
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালের জনা পঞ্চাশ চিকিৎসক প্রথমে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে মিছিল করেন। তাঁদের সঙ্গে এই মিছিলে যোগ দেন হাসপাতালের নার্সেরাও। এ দিন সকালেই চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বহির্বিভাগে গিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা গাড়ি রাখার জায়গায় রোগী দেখবেন। তাই বহির্বিভাগের টিকিট কাটার পরে রোগীরা সবাই চিকিৎসকদের গাড়ি রাখার জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন। শুক্রবার রাত থেকেই সেখানে ম্যারাপ বাঁধা হয়েছিল। টেবিল-চেয়ারও পেতে রাখা হয়। মিছিল শেষ হওয়ার পরে চিকিৎসকেরা সেখানে গিয়ে নির্দিষ্ট চেয়ার-টেবিলে বসে পড়েন। সকাল ১০টার আগেই তাঁরা রোগী দেখতে শুরু করেন।
বুধবার চিকিৎসকেরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগী দেখেননি। শুক্রবার মিনিট পনেরো অবস্থান-বিক্ষোভ করেছিলেন হাসপাতালের নার্সেরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রানিগঞ্জ শাখা চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে মোমবাতি মিছিল করে। এ দিন আসানসোলে মিছিল করা ও রোগী দেখার সময়ে চিকিৎসকদের প্রত্যেকের বুকে ছিল কালো ব্যাজ। অনেকে মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধেছিলেন। চিকিৎসকদের তরফে সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় জানান, এনআরএস-কাণ্ডের প্রতিবাদেই তাঁরা এ ভাবে চিকিৎসা করছেন। তাঁর দাবি, ‘‘যত দিন পর্যন্ত না সমাধান সূত্র বেরোবে, তত দিন আমরা এই ধরনের প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’’ হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, এ দিন চিকিৎসকেরা প্রতিবাদ জানালেও রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy