ছবি:শাটারস্টক
পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে কলেজগুলিকে প্রশ্ন দেবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট আগে সেই প্রশ্নপত্র নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করবে কলেজগুলি। প্রতিদিন দু’টি করে লিখিত পরীক্ষা হবে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে স্নাতকস্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষার নিয়মাবলী নিয়ে এমনই একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রত্যেক পড়ুয়াকে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে, কোনও কোচিং সেন্টারে বা বাইরে গিয়ে নয়, কারও সাহায্যেও নয়, ঘরের ভিতর বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। বাইরে বা কারও সাহায্য নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন, এমন ঘটনা নজরে এলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, ‘‘অক্টোবরের প্রথম দিকেই পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। এক মাসের মধ্যেই ফল বেরিয়ে যাবে।’’ সে কারণে সমস্ত প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা এই মাসের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয়। যে সব পরীক্ষার ফল এখনও অপ্রকাশিত, সেগুলিও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই প্রকাশ করার উদ্যোগ হয়েছে। ‘অনলাইন’ পরীক্ষা হলেও ৫০ শতাংশ ‘ফি’ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ফি মকুবের দাবি করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের অনেকেই ফি মকুবে নারাজ। সেই কারণেই ওই ফি ধার্য করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (কলা বিভাগ) রমেন সর বলেন, ‘‘অনলাইনে পরীক্ষার জন্য নিয়মনীতিতে কিছু বদল আনতে হয়েছে। পড়ুয়ারা যাতে ঘরে বসেই পরীক্ষা দেন, তার জন্যে শুরুতেই মুচলেকা নেওয়া হচ্ছে। সেখানে বলা থাকছে, কোচিং সেন্টার বা অন্যত্র গিয়ে পরীক্ষা দিলে বা কারও সাহায্য নিয়ে উত্তর লিখলে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাতা স্ক্যান করে নির্দিষ্ট ই-মেলে আপলোড করতে হবে। একান্তই তা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট কলেজে গিয়ে খাতা জমা দেওয়া যাবে।’’ সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরীক্ষায় কোনও ছোট প্রশ্ন থাকবে না। পূর্ণ মানের পরীক্ষায় পাঁচ ও দশ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমান, ৬২টি কলেজ থেকে ২৫ হাজারের মতো পড়ুয়া ফাইনাল সিমেস্টার পরীক্ষা দেবেন। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিয়ে বারবার আলোচনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম থেকে পঞ্চম সিমেস্টারের মধ্যে কোনও পড়ুয়া অনুত্তীর্ণ হলে, তিনি চূড়ান্ত সিমেস্টারে বসতে পারবেন না। অস্থায়ী রেজিস্ট্রার অভিজিৎ মজুমদার এ দিন বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে ওই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। সব পড়ুয়া চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারবেন। তবে আগের পরীক্ষগুলিতে উত্তীর্ণ না হলে চূড়ান্ত মার্কশিট পাবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy