—ফাইল চিত্র।
সরাসরি শিক্ষকদের ফোন করে দ্রুত খাতা দেখে জমা দেওয়ার অনুরোধ করছেন উপাচার্য নিজে। অভিযোগ, পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের যাঁদের এই কাজ করার কথা, তাঁরা ঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। সে কারণেই উপাচার্য-রেজিস্ট্রারকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে বলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের দাবি, চলতি মাস থেকে পরীক্ষা নিয়ামক দফতরে এমন ‘নজরদারি’ শুরু হয়েছে। এর পরেই প্রায় সাত মাস পরে সোমবার স্নাতক স্তরের পার্ট ১ (পুরনো পদ্ধতি) পরীক্ষার ফল বেরোল। অগস্ট মাসে পার্ট ২ পরীক্ষার ফলও এ মাসের মধ্যেই বের করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে পার্ট ৩-এর পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। ভোট প্রক্রিয়া শুরুর আগেই পরীক্ষা শেষ করতে চান কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষার ফল বেরোতে দেরির কারণ হিসেবে অনেক সময়ে শিক্ষকেরা খাতা দেখে নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত দেন না বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, নজরদারি শুরু করে উঠে এসেছে অন্য কারণও। জানা গিয়েছে, এক শীর্ষ আধিকারিকের দায়িত্ব ছিল পরীক্ষার খাতাগুলি শিক্ষকের কাছে পৌঁছনো। কিন্তু শিক্ষকেরা খাতা নিতে আসছেন না জানিয়ে পরীক্ষা নিয়ামক দফতরে চিঠি দিয়ে দায় সেরেছেন তিনি। আর এক শীর্ষ আধিকারিকও ঠিক মতো নজর না রাখায় মাসের পর মাস খাতা উত্তরপত্র (এপি) বিভাগেই পড়ে থাকত বলে অভিযোগ। ওই আধিকারিকের কাছ থেকে দায়িত্ব কেড়ে সহকারী পরীক্ষা নিয়ামক কৃষ্ণেন্দু মজুমদারকে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ফল প্রকাশের ব্যবস্থা ঢেলে সাজার ভাবনা চলছে। পরীক্ষা শেষের ৪৫ দিনের মধ্যে যাতে ফল বের করা যায়, সেই লক্ষ্যে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের দফতর বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিউড়ি, বোলপুর, আরামবাগ, ইটাচুনা ও কালনায় সাব-সেন্টার গড়া হয়েছে। সেখান থেকে আপাতত পাশ কোর্সের খাতাগুলি বিলি করা হবে। এই পদ্ধতি সফল হলে আরও সাব-সেন্টার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়াও পরীক্ষকদের নামের তালিকা ও ফোন নম্বর সংগ্রহে রাখা হয়েছে। রেজিস্ট্রার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষকের কাছে খাতা পৌঁছে যাবে। ওই সব পরীক্ষকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে।’’
উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ থেকে শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রত্যেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা ঠিক সময়ে পরীক্ষার ফল বের করতে চাই।’’ কলেজ শিক্ষকদের একটি সংগঠনের নেতা শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঠিক সময়ে পরীক্ষার ফল বের করার জন্যে আমরা সব রকম সাহায্য করব বলে উপাচার্যকে জানিয়েছি। সেই মতো শিক্ষকদেরকে শীঘ্র খাতা জমা দেওয়ার অনুরোধও করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy