Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Bardhaman

জট কাটাতে বিকল্প পথের খোঁজ

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, এ দিন দফতরের পর্যালোচনা বৈঠক ছিল বর্ধমানে। হাজির ছিলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও অন্য আধিকারিকেরা।Alternative roads

কৃষক সেতুতে চেনা যানজট। নিজস্ব চিত্র

কৃষক সেতুতে চেনা যানজট। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:১০
Share: Save:

প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি যাতায়াত করে বর্ধমান-আরামবাগ ও বাঁকুড়া রোড ধরে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির জট লেগে থাকে ওই রাস্তায়। রাস্তার হাঁসফাঁস দশা কাটাতে পূর্ত দফতরকে বেশ কিছু পরিকল্পনা দিয়েছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। সেই অনুযায়ী কী ভাবে ওই রাস্তার ভার লাঘব করা তা দেখতে মঙ্গলবার বিকেলে পরিদর্শনে যান পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্য ও অন্য আধিকারিকেরা।

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, এ দিন দফতরের পর্যালোচনা বৈঠক ছিল বর্ধমানে। হাজির ছিলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও অন্য আধিকারিকেরা। সেখানেই ওই রাস্তার যানজট নিয়ে আলোচনা হয়। ওই রাস্তার উপরে দামোদরের কৃষক সেতুর বয়স প্রায় ৪৫ পেরিয়েছে। পূর্ত দফতরের হিসেবে, ওই সেতুর আয়ু কমছে। প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার গাড়ির ধকল নেওয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছে সেতুটি। সেতুটির পাশে সরকারি জায়গা থাকায় নতুন সেতুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সমীক্ষা, প্রাথমিক নকশা তৈরি হয়েছে। দামোদরের উপরে সেতু তৈরির জন্য ডিভিসির সঙ্গে কথাও বলছে পূর্ত দফতর। এ দিন বিকেলে পূর্ত সচিব সরেজমিন জায়গা পরিদর্শন করেন। নকশা নিয়ে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু সেতু তৈরির বিষয়টি সময় সাপেক্ষ। অথচ যানজটের মোকাবিলা দ্রুত করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করাটা কার্যত বাধ্যতামূলক, মনে করছেন সব পক্ষ।

এ দিন বৈঠক চলাকালীন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রস্তাব দেন, আরামবাগ রোডে সগড়াই মোড় থেকে রায়না হয়ে জামালপুরের কারালা সেতু পর্যন্ত একটি রাস্তা গিয়েছে। ওই রাস্তাটি জামালপুর হয়ে মশাগ্রামের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে মিশছে। বর্ধমান হয়ে যে সব ট্রাক বা গাড়ি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে, সেই গাড়িগুলিকে ওই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে পারলে যানজট অনেকটা কমে যাবে। কৃষক সেতুর ভারও কিছুটা কমবে। প্রস্তাব শুনে পূর্ত মন্ত্রী তাঁর সচিবকে রাস্তাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পরেই সচিব অন্তরা আচার্য ও আধিকারিকরা রাস্তাটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

পূর্ত দফতরের এক কর্তার দাবি, ‘‘বিকল্প রাস্তা হিসেবে ভাল প্রস্তাব। কিন্তু রায়নার কাছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা দৃঢ়ীকরণ করা অসুবিধা। জনবহুল জায়গার ভিতর দিয়ে ভারী ভারী গাড়ি গেলেও আপত্তি উঠতে পারে।’’

রায়নার বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত মন্ত্রীর প্রস্তাব কার্যকর হলে এলাকার অর্থনীতি খুলে যাবে। রাস্তা হলে আবার কেউআপত্তি করে!’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bardhaman traffic jam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy