ভাল জায়গায় রয়েছে বর্ধমানের বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। ছবি সংগৃহীত।
‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের’ পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্যে ‘ভাল’ জায়গায় রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা। অথচ, কয়েকটি কেন্দ্রের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের আধিকারিকেরা। জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিকদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের ১৫ জন কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়েছে। তাঁরা উত্তর দেওয়ার পরে, পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক, এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তমোজিৎ চক্রবর্তীর দাবি, “অত্যন্ত ভাল পরিষেবা দেওয়ায়, রাজ্যের মধ্যে আমরা প্রথম হয়েছি।” তিনি জানান, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের রাজ্যের সিইও সাবিনা আজমির নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল জেলায় এসে এই কেন্দ্রগুলির কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করেছে। তাদের দেওয়া রিপোর্টে প্রায় ২৭টি কেন্দ্রের কাজ খুবই ভাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০টি কেন্দ্রের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানে প্রায় ৯৫টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রগুলিতে ১৮১ জন কর্মী কর্মরত। সাধারণত, বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ‘অনলাইনে’ আবেদন করা থেকে জমির খাজনা দেওয়া-সহ নানাবিধ সরকারি অনলাইন পরিষেবা পাওয়া যায় এই কেন্দ্র থেকে। সাধারণ নাগরিক যাঁরা নিজেরা এ সব কাজ করতে অক্ষম, মূলত তাঁরাই এই কেন্দ্রগুলি থেকে বিনামূল্যে পরিষেবা পেয়ে থাকেন। তমোজিৎ বলেন, “সামগ্রিক বিচারে এই জেলাই রাজ্যের মধ্যে ভাল পরিষেবা প্রদান করেছে বলে জানানো হয়েছে। আগামী দিনেও এই সাফল্য ধরে রাখতে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আরও ভাল পরিষেবা প্রদানের বিষয়ে উৎসাহিত করার পাশাপাশি, কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞেরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন, সেগুলির মান কেন খারাপ, তার পর্যালোচনা করা হয়েছে। তার পরেই ১৫ জন কর্মীর কাজে গাফিলতি মিলেছে বলে দাবি।কেন তাঁদের কাজের মান খারাপ? এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে না কেন? তার কারণ জানতে চেয়ে ওই কর্মীদের বুধবার নোটিস পাঠানো হয়েছে।
তবে দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজন কর্মী প্রয়োজনের অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ায়, কেন্দ্রগুলি থেকে সাধারণ মানুষ ঠিকমতো পরিষেবা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই সব কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy