বুধবার দুপুরে বরাকরে বিক্ষোভ ছড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হল দোকানপাট। পুলিশি হেফাজতে বন্দিমৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলের বরাকরে। এ বার পুলিশি হেফাজতে বন্দিমৃত্যুর গুজবকে কেন্দ্র করে। বুধবার দুপুরে বরাকর স্টেশন রোড এলাকায় ঘণ্টাখানেকের জন্য উত্তেজনা ছড়ালেও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে বরাকর এলাকায় রটে যায়, মহম্মদ আরমান আনসারির মতোই পুলিশি হেফাজতে শ্যামল বাউরির মৃত্যু হয়েছে। এর পর বেলা ১২টা নাগাদ বরাকরের বেগুনিয়া মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার একাংশ। জমায়েত শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। স্টেশন রোড এলাকায় একের পর এক দোকান বন্ধ হতে থাকে। তবে ঘণ্টাখানেক ধরে বিক্ষোভের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
মঙ্গলবার বরাকর ফাঁড়ির হেফাজতে থাকাকালীন মহম্মদ আরমান আনসারি (২১) নামে এক যুবকের নিহত হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছিল বরাকর। আরমানের সঙ্গে শ্যামলকেও তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছিল তাঁর পরিবার। যদিও তাঁর মৃত্যুর হয়নি বলে জানিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘‘শ্যামল বাউরিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানকার সিসিইউ-তে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তিনি সুস্থই রয়েছেন। তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে আজ (বুধবার) গুজব ছড়িয়েছে, যা সত্যি নয়। পুলিশ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। বরাকরের বাসিন্দাদের কাছে অনুরোধ, গুজবে কান দেবেন না।’’
অন্য দিকে, পুলিশি হেফাজতে নিহত আরমানের ময়নাতদন্ত বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বরাকর ফাঁড়িতে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাবা মহম্মদ কালাম আনসারি। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আনসারির মৃত্যুর ঘটনায় দু’জন সাব-ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যার মধ্যে এক জন বরাকর ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ছিলেন। তাঁর বদলে হেমন্ত দত্তকে ফাঁড়ির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy