বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান আদালতে মহিলা আইনজীবীর খুনে নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়ে মিছিল করলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা। নিজস্ব চিত্র
মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য বার কাউন্সিলের এক প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার ওই দলে ছিলেন কাউন্সিলের ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান প্রসূন দত্ত, সহ সভাপতি সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা। পরে অবশ্য তাঁরা জানান, তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে তাঁরা ‘সন্তুষ্ট’। এ দিন বার কাউন্সিলের নির্দেশে রাজ্য জুড়েই সমস্ত আদালতে জামালপুরের ওই মহিলা আইনজীবীর মৃত্যুর প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করা হয়।
প্রসূনবাবু বলেন, “আমি কলকাতা হাইকোর্টের ফৌজদারি আইনজীবী। জানি, এই সব ঘটনায় তদন্ত কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সে দিক দিয়ে এসপি-র নেতৃত্বে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ খুব দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। যে ভাবে তদন্ত এগোচ্ছে, আমরা খুশি।’’
এ দিন বিকেলে বর্ধমান আদালত থেকে আইনজীবীরা মিছিল করে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে আসেন। আইনজীবীদের হাতে থাকা পোস্টারে লেখা ছিল, ‘খুনিকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে’। মিছিল থেকেও একই স্লোগান ওঠে। এসপি-র দফতরের সামনে মিছিল পৌঁছতেই পুলিশ আটকে দেয়। পরে বার কাউন্সিল ও বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানিয়েছেন এসপি। তদন্তের স্বার্থে আইনজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তাঁরাও সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ দিন দুপুরেও বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আইনজীবীদের একাংশ। কালো ব্যাজ পড়েছিলেন তাঁরা। সদনবাবু বলেন, ‘‘আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বার কাউন্সিল আন্দোলনে নেমেছে। পুলিশের তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপরে আমাদের আন্দোলন দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’ এ দিন একটি মানবাধিকার সংগঠনও আততায়ীদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলাশাসককে চিঠি দেয়।
কর্মবিরতিতে সমর্থন জানান কালনা আদালতের আইনজীবীরাও। আদালত চত্বর ছিল সুনসান। কয়েকজন আইনজীবী এলেও কাজ করেননি। দেখা মেলেনি ল’ক্লার্কদেরও। এই আইনজীবী পার্থসারথী কর বলেন , ‘‘নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে ওই আইনজীবীকে। আমরা চাই, পুলিশ দ্রুত খুনিকে ধরুক। খুনের কারণ সামনে আসুক।’’
সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাটোয়া আদালত চত্বরেও প্ল্যাকার্ড নিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। কাটোয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৌমেন সরকার বলেন, ‘‘মিতালী ঘোষকে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছি। প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলনে নামব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy