মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ওই জমিতেই উঠছে বহুতল। সোমবার এমনই কথা জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের যে প্রান্তে সরকারি জমি বেহাত হয়েছে, সেখানে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর ওই নির্দেশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে দিল আসানসোল পুরনিগম। ভেঙে দেওয়া হল বাঁশ-টালি দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী ধর্নামঞ্চ। ঘটনাচক্রে ওই ধর্নামঞ্চ তৈরি হয়েছিল অবৈধ নির্মাণ এবং নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে।
আসানসোল পুরনিগমের তরফে যখন ওই ধর্নামঞ্চ ভাঙা হচ্ছিল, তখন সেখানে কোনও প্রতিবাদীকে পাওয়া যায়নি। পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার রাজেশকুমার শ্রীবাস্তব এবং নয়ন নস্কর, আইনজীবী সুদীপ্ত ঘটক-সহ পুরনিগমের কয়েক জন কর্মীর উপস্থিতিতে ‘উচ্ছেদের’ কাজ হয়। ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ বলেন, ‘‘কয়েকটি স্কুলের পাশেই টালি এবং বাঁশ দিয়ে একটি মঞ্চ বানানো হয়েছিল। আজ (সোমবার) মেয়র বিধান উপাধ্যায় নির্দেশ দেন যে রাস্তা দখল করে কোনও কাজ করা যাবে না। কিছু থাকলে তা ভেঙে ফেলতে হবে। মেয়রের নির্দেশ মাফিক কাজ হয়েছে।’’
আসানসোল চেলিডাঙা এলাকায় শতাব্দী পার্কের ঠিক বিপরীতে একটি বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। অভিযোগ ওঠে, বেআইনি ভাবে ওই নির্মাণকাজ চলছে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানান। বেশ কিছু দিন ধরে চলছে ধর্না। ওই মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ ভাবে নির্মাণকাজ হচ্ছে। সঠিক তদন্তের দাবিতে তাঁরা কয়েক মাস ধর্না করছেন।
যদিও পুরনিগম স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছে ওই বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম হয়নি। বরং সরকারি জায়গা দখল করে ধর্নামঞ্চ তৈরি হয়েছিল। সেটাই ভাঙা হল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা অবশ্য জানিয়েছেন, সরকারি জমি বেদখলের ক্ষেত্রে ‘রাম-শ্যাম, যদু-মধু’ দেখা যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধেও যদি এমন অভিযোগ থাকে, সেই অভিযোগের প্রমাণ থাকে, সেখানেও যেন পদক্ষেপ করতে পিছপা না-হয় প্রশাসন। কোনও বাছবিচার যেন করা না-হয়। পাশাপাশি আসানসোল পুরনিগম এলাকায় অবৈধ নির্মাণকাজ হচ্ছে বলেও সতর্ক করেছেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy