অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবিতে আসানসোলের হিরাপুর থানার পাশের রাস্তায় ধর্না দেন স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায় পাওয়া ক্ষতবিক্ষত তরুণী আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেরই ছাত্রী। জানা গেল তাঁর পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে। এ-ও জানা গিয়েছে খুন করা হয়েছে কোয়েল হাঁসদা নামে ২২ বছরের ওই আদিবাসী তরুণীকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবিতে আসানসোলের হিরাপুর থানার পাশের রাস্তায় ধর্না দেন স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। বুধবার দুপুরে ডিসি অভিষেক মোদী গিয়ে আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় তিন জনের এক জনকে ধরা হয়েছে। আশ্বাস দিচ্ছি দোষীদের দ্রুত ধরা হবে। যারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তাদের শাস্তি হবে।’’
অন্য দিকে, মৃতা তরুণীর বাবা লক্ষ্মীনারায়ণ হাঁসদা দাবি করেছেন, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে যে জায়গা থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়, তার ঠিক এক দিন আগে সেই জায়গা থেকে এক ১৪ বছরের নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম শুভম আগরওয়াল। এই পুরো ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে আসানসোলের নিউটাউন এলাকায় কেয়েলের ক্ষতবিক্ষত দেহ মেলে। খবর পেয়ে নিউটাউনের ১২ নম্বর রাস্তা থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবারই ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার মৃতার বাবা লক্ষ্মীনারায়ণ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কোয়েল। তার পর আর কোনও খবর পাননি কোয়েলের। মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর ফোন অফ পাওয়া যায়। লক্ষ্মীনারায়ণের কথায়, ‘‘কয়েক জন এসে খবর দিল দেহ পাওয়া গিয়েছে। আমি ওখানে গিয়ে দেহ দেখতে পাইনি। আমার মনে হচ্ছে এটা পরিকল্পিত খুন।’’ কিন্তু ঠিক কে খুন করতে পারেন তা বুঝতে পারছেন না পেশায় শিক্ষক লক্ষ্মীনারায়ণ। তিনি চান অবিলম্বে সব অভিযুক্তকে খুঁজে বার করুক পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy