আসানসোলের অরুনোদয় উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। ছবি সংগৃহীত।
ফের সময় মতো স্কুলে পাঠ্যবই বিতরণ না করার অভিযোগ উঠেছে জেলা শিক্ষা দফতরের আসানসোল শিক্ষাচক্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, আসানসোলের অরুনোদয় উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের বহু পড়ুয়াই কোনও না কোনও বিষয়ের বই পায়নি। শিক্ষকদের অভিযোগ, আসানসোল শিক্ষাচক্রের কাছে বার বার আবেদন জানিয়েও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
বাংলা ও হিন্দি দুই মাধ্যমে এই স্কুলে পড়াশোনা হয়। হিন্দি মাধ্যমের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সাতশো পড়ুয়া বই পায়নি। প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রথম চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এই মাসে শেষ হয়েছে প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের পরীক্ষা। এর পরেও হিন্দি মাধ্যমের পড়ুয়ারা সকলেই কোনও না কোনও বিষয়ের সরকারি পাঠ্যবইপায়নি। প্রধান শিক্ষক বলেন, “পরীক্ষা সত্ত্বেও বই না পেয়ে খুবই সমস্যায় পড়েছিল পড়ুয়ারা। এক জন শিক্ষাবন্ধুর উদ্যোগে বারাবনি ও রানিগঞ্জের স্কুল থেকে কিছু সংখ্যক পুরনো বই এনে কয়েক জন পড়ুয়াকে দেওয়া হয়। তাতে অবশ্য পুরো সমস্যা মেটেনি।”
এ দিকে, স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম মতো শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই পাঠ্যবই পাওয়ার কথা। কারণ, শিক্ষা দফতরের ‘বাংলা’ পোর্টালে নির্দিষ্ট করে সংশ্লিষ্ট স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা, কী-কী বিষয়ে কত পাঠ্যবই লাগবে, তা উল্লেখ করা হয়। ইন্দ্রজিতের আরও অভিযোগ, “বই আনার জন্য আমরা বার বার আসানসোল শিক্ষাচক্রে গিয়েও ফিরে এসেছি।” চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরাও। মনোজ প্রসাদ নামে এক অভিভাবকের বক্তব্য, “শিক্ষবর্ষের শুরুতেই পাঠ্যবই পাওয়ার কথা। বছরের অর্ধেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে বই পেয়েই বা কী লাভ!”
জেলা শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, কোন স্কুলে কত বই লাগবে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব রাখা, রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে সেই সংখ্যক বই এনে সংশ্লিষ্ট স্কুলে সরবরাহের দায়িত্ব শিক্ষাচক্রের। এ ক্ষেত্রে তা পালন করার কথা আসানসোল শিক্ষাচক্রের। কিন্তু তার পরেও বই কেন পাওয়া যায়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক অমিদ্যুতি ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায়েরা।
যদিও, অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) সঞ্জয় পালের বক্তব্য, “এমনটা হওয়ার কথা নয়। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।” প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছি জেলা স্কুল পরিদর্শক সুনীতি সাঁপুই। এ দিকে, কেন এমন পরিস্থিতি, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সদুত্তর দিতে পারেননি আসানসোল শিক্ষা চক্রের পরিদর্শক সন্দীপ কোড়া। তবে, তাঁর বক্তব্য, “অনেক পড়ুয়াই বই পেয়েছে। সামান্য কিছু বাকি আছে। তাঁদের নামে চালান তৈরি হয়ে গিয়েছে। দ্রুত বই সরবরাহ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy