শুভেচ্ছা। নিজস্ব চিত্র
আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন কবি দত্ত। দায়িত্ব নিয়েই দখলদারির সমস্যা নিয়ে সরব হলেন তিনি। বুধবার তিনি বলেন, “দখলদারি কিছুতেই মানব না। তাতে পদ ছেড়ে দিতে হলে এক মুহূর্তে ছেড়ে দেব।” এ দিন দুপুরে দুর্গাপুরের কার্যালয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, সাংসদ কীর্তি আজাদ, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
দুর্গাপুর শহরের নানা প্রান্তে দখলদারির অভিযোগ বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ। এডিডিএ-র জায়গাও দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অতীতে বিক্ষিপ্ত ভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে এডিডিএ। কিন্তু কখনও রাজনৈতিক কারণে, কখনও ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধের মুখে পিছিয়ে গিয়েছে তারা, দাবি শহরবাসীর অনেকের। যদিও এডিডিএ তা মানতে চায়নি। এ দিন দায়িত্ব নেওয়ার পরে কবি দত্ত বলেন, “উচ্ছেদ নিয়ে অমানবিক পদক্ষেপ করব না। তবে বেআইনি দখলদারি মানব না। আমরা জায়গার নিলাম শুরু করি ৬০-৭০ লক্ষ টাকা কাঠা হিসাবে। সেই জায়গা যদি কেউ দখল করে রাখে, ব্যবস্থা হবেই। কোনও ভাবেই তা বরদাস্ত করব না।”
চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে তিনি কোন কোন বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ভাবছেন, সে প্রশ্নে কবি জানান, এখনও তিনি কিছু ঠিক করেননি। তাঁর কথায়, “হঠাৎ করে হয়েছে পুরো বিষয়টা। আমার রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক কোনও অভিজ্ঞতা নেই। অগ্রাধিকারের তালিকা এখনও তৈরি করে উঠতে পারিনি। চিন্তাভাবনা করার সময় দিতে হবে।”
মন্ত্রী প্রদীপ বলেন, “উনি (কবি দত্ত) এক জন উদ্যোগপতি। আমিও এক সময়ে উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই অভিজ্ঞতা আমার কাজে এসেছে। ওঁর অভিজ্ঞতাও কাজে আসবে বলে মনে করি। দুর্গাপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এডিডিএ-র।” সাংসদ কীর্তি বলেন, “নতুন সাংসদ, নতুন চেয়ারম্যান, নতুন চিন্তাভাবনায় ও মন্ত্রীর সহযোগিতায় নতুন দুর্গাপুর গড়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমার দিক থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।”
এ দিন বিকেলে আসানসোলে এডিডিএ কার্যালয়ে আসেন নতুন চেয়ারম্যান। তাঁকে স্বাগত জানান জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) এস পুন্নমবলম। ছিলেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক। কবি জানান, আসানসোলের কার্যালয় থেকে প্রাথমিক ভাবে কাজ সামলাবেন ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল। তাঁর দাবি, ‘‘এত দিন ভাইস চেয়ারম্যানের কী কাজ, তা স্পষ্ট ছিল না। চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানদের দূরত্ব ছিল। এ বার সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে কাজের অগ্রগতি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy