বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ
রোগীর শ্লেষ্মা পরীক্ষার জন্য বাইরের প্যাথলজি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক আয়ার বিরুদ্ধে। বুধবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করে রোগীর পরিবার। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কিডনির সমস্যা নিয়ে সোমবার হাসপাতালে আসেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বাসিন্দা বিউটি হাজরা। কান্দি হাসপাতাল থেকে তাঁকে ‘রেফার’ করা হয়েছে। রাধারানি ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার পরে তাঁর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলা হয়। মঙ্গলবার শ্লেষ্মা পরীক্ষা করানোর কথা বলেছিলেন চিকিৎসক। অভিযোগ, এক আয়া বিউটির বাবা বাবলু হাজরাকে জানান, হাসপাতালে এই পরীক্ষা করা হয় না। বাইরের প্যাথলজি কেন্দ্রে যেতে হবে।
বাবলুবাবু অভিযোগ করেন, ওই আয়াই তাঁকে খোসবাগানের একটি প্যাথলজি কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষার জন্য এক হাজার টাকা জমা দেন তিনি। বিকেলে আরও এক হাজার টাকা দিয়ে রিপোর্ট নেওয়ার কথা হয়। কিন্তু তাঁর কাছে টাকা না থাকায় বিকেলে ওই প্যাথলজি কেন্দ্রে গিয়ে তিনি জানান, এখন রিপোর্ট দেওয়া হোক, ওই আয়া মারফত টাকা তিনি পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু প্যাথলজি কেন্দ্রের লোকজন তাতে রাজি না হওয়ায় ফিরে আসতে হয়।
বাবলুবাবুর দাবি, হাসপাতালে ফিরে তিনি আয়াকে খোঁজাখুঁজি করার সময়ে জানতে পারেন, হাসপাতালে ওই পরীক্ষা হয়। তাঁকে তা না জানিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে বুঝে বুধবার সকালে হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বলে জানান তিনি। বাবলুবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওই আয়া নিজেই টেবিল থেকে পরীক্ষার কাগজপত্র নিয়ে আসেন। তাই তাঁর কথায় বিশ্বাস করেছিলাম। এ রকম ঘটবে ভাবিনি!’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা দিন মাইকে ঘোষণা করা হয়, হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা বিনামূল্যে। কাউকে কোনও টাকাপয়সা যেন দেওয়া না হয়। দেওয়ালে সচেতনতা বোর্ডও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষ সচেতন না হাওয়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। অভিযুক্ত আয়ার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘অভিযোগের তদন্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy