‘আক্রান্ত’ চালক। নিজস্ব চিত্র।
বোলপুরের দিকে যাওয়ার নাম করে গাড়ি ভাড়া নিয়ে মাঝ রাস্তায় চালককে মারধর করে গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। রবিবার সকালে কলকাতার গার্ডেনরিচের বাসিন্দা ওই চালক খুরশিদ আলমকে উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িটির খোঁজ শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
বছর তিরিশের খুরশিদ জানান, নিজের গাড়িটি ভাড়ায় খাটান তিনি। নিজেই চালান। তিনি অভিযোগ করেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বর্ধমান যাওয়ার নাম করে তিন জন কলকাতার রানি রাসমণি রোড থেকে তাঁর গাড়িটি চার হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। তিন জনেরই মুখ মাস্কে ঢাকা ছিল। বর্ধমানে পৌঁছনোর পরে তারা ২বি জাতীয় সড়ক ধরে বোলপুরের দিকে যেতে বলে। সে জন্য আরও পাঁচশো টাকা দেওয়ার কথা জানায় ওই আরোহীরা। আউশগ্রামের গোবিন্দপুরের কাছাকাছি পৌঁছে কোনও ভাল হোটেল চোখে পড়ছে না দাবি করে গাড়ি ঘুরিয়ে শক্তিগড়ের দিকে ফিরতে বলে।
খুরশিদ অভিযোগ করেন, ভাতারের আমবোনা মোড়ের কাছে আচমকা পিছন থেকে তাঁর গলায় দড়ির মতো কিছু একটা পেঁচিয়ে ধরা হয়। কোনও রকমে তা ছাড়িয়ে তিনি গাড়ি থামিয়ে দরজা খুলে নেমে পড়েন। তখন ওই তিন জনও নেমে এসে তাঁকে টেনে পাশের ধানখেতে নিয়ে যায়। সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়, বেধড়ক মারধর করা হয়। খুরশিদের অভিযোগ, মারের চোটে তিনি জ্ঞান হারান। তখন তাঁর মুখে সেলোটেপ এঁটে গাড়িটি নিয়ে ওই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। যাওয়ার আগে তাঁর কাছে থাকা হাজার তিনেক টাকা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোবাইল ফোনও নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওই চালকের।
খুরশিদ জানান, সকালে জ্ঞান ফেরার পরে রাস্তায় এসে তিনি এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দেখা পান। তাঁকে ঘটনার কথা জানান। তাঁর ফোন থেকেই বাড়িতে ফোন করে খবর দেন। পুলিশ তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে কলকাতা থেকে তাঁর বাড়ির লোকজন ভাতারের ওরগ্রামে পৌঁছন। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে খুরশিদ দাবি করেছেন, পুরনো আক্রোশের জেরেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এমন ঘটনার পরে রাতে জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাস্তায় এমন ঘটনা ঘটলেও কেন পুলিশের টহলদার গাড়ির নজরে পড়ল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের ধারণা, এলাকাটি ফাঁকা দেখেই সেখানে এই কাণ্ড ঘটানোর ছক কষে ওই দুষ্কৃতীরা। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। ছিনতাই হওয়া গাড়ি ও অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy