Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sand Smuggling

দামোদরের বুকে অবৈধ খাদান! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বালি লুটের অভিযোগ তুলে পুলিশে ভূমি দফতর

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চক্ষণজাদি গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা শেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে দানির বিরুদ্ধে বালি চুরির অভিযোগ উঠেছে।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জামালপুর শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ ২৩:৩০
Share: Save:

দামোদরের বুকে অবৈধ খাদান খুলে বালি লুটের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে ভূমি দফতর। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় বালি চুরির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায়। এখন তাঁর দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বালি চুরির অভিযোগ উঠল!

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চক্ষণজাদি গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা শেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে দানির বিরুদ্ধে বালি চুরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দানি শুধুমাত্র তৃণমূলের বেরুগ্রাম অঞ্চলের সভাপতিই নন, তিনি বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতেরও সদস্য। পঞ্চায়েতের পূর্ত সঞ্চালক পদে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর এফআইআর দায়ের করেছে। শক্তিগড় থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরে বর্ধমান ২ ব্লকের বিএলআরও জানিয়েছেন, দামোদরে অবৈধ খাদান খুলে বালি লুট চলছে। সেই খবর তাদের কাছে আসে। এর পরেই তারা বেরুগ্রাম অঞ্চলের শম্ভুপুর মৌজার সীমানা সংলগ্ন বর্ধমান ২ ব্লকের গোপালপুর মৌজায় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হওয়া ওই অভিযানে জেলা, মহকুমা (বর্ধমান উত্তর) ও ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা ছাড়াও পুলিশ এবং ক্ষুদ্র খনিজ বিভাগের বিভাগীয় অফিসারেরাও সামিল ছিলেন। বাধা পেরিয়ে তাঁরা সকলে অভিযানস্থলে পৌঁছন। সেখানে পৌছে তাঁরা অবৈধ খাদানে খননকার্যের সুস্পষ্ট প্রমাণ পান। খাদানে চারটি ডাম্পারও ছিল সেই সময়ে।

ভূমি দফতর পুলিশকে জানিয়েছে, খাদান থেকে এক ডাম্পার চালককে আটকও করেছিল তারা। সেই ব্যক্তিই জানিয়েছিলেন যে, খাদানটি দানি চালান। বিএলআরও সৌরভ রক্ষিত বলেন, ‘‘আমি এফআইআর দায়ের করে দিয়েছি। এর পর যা পদক্ষেপ করার, সেটা পুলিশই করবে।’’ পুলিশ তরফে অবশ্য এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলা হয়নি। এ ব্যাপারে দানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমার নামে কোথায় এফআইআর হয়েছে জানি না। আমি এ রকম কোনও বেআইনি ব্যবসা করি না।’’

এ নিয়ে জেলা বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘শুধু জামালপুর নয়। দানির মতো বালি লুটেরারা গোটা জেলা জুড়েই ছড়িয়ে রয়েছে। মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম অঞ্চলের কোয়ারপুর ও মালিয়ারা মৌজায় অজয় নদ থেকেও অবাধে বালি লুট চলছে বলে সেখানকার বাসিন্দারাও জেলা ও ব্লক প্রশাসনের নানা মহলে অভিযোগ জানিয়েছেন।’’ পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, কেউ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক অলক মাঝি বলেন, ‘‘দল ও সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কেউ অবৈধ বালি কারবারে যুক্ত হয়ে থাকলে, শাস্তি তাঁকে পেতে হবে। তিনি দলের নেতা হলেও রেয়াত পাবেন না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

sand smuggling TMC Jamalpur police investigation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy