প্রতীকী ছবি।
রাস্তাঘাটে বেরোলেই বছর সতেরোর মেয়েটিকে ‘বিরক্ত’ করা হত। বাড়িতে ব্যাপারটা জানিয়েছিল সে। সোমবার বিকেলে রাস্তায় বেরোলে ওই নাবালিকাকে জোর করে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিজনেদের দাবি, ঘটনার পর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে মেয়েটি। মঙ্গলবার বিকেলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতীও হয় কাটোয়ার বিল্বেশ্বর গ্রামের তরুণী। কাটোয়া থানায় এই মর্মে অভিযোগ করে তার পরিবার। বুধবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত বাবুসোনা দাসকে গ্রেফতারও করেছে।
যদিও ধৃতের মা, ওই গ্রামেরই দাসপাড়ার বাসিন্দা অণিমা দাসের দাবি, ‘‘বছর দু’য়েক ধরে ওদের সম্পর্ক ছিল। জোর করে নয়, মেয়েটির সম্মতিতেই সিঁদুর পরিয়েছিল ছেলে। বাড়িতে মেয়েকে বকাঝকা করাতেই সে আত্মঘাতী হয়েছে।’’ একই দাবি করেছেন, ধৃতের আইনজীবী সৈয়দ রহমতুল কবীরও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। অভিযুক্ত যুবক ভিন্ রাজ্যে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। এক বছর পরে পুজোর সময়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। প্রতিবেশীদের অনেকেরও দাবি, দু’জনের সম্পর্ক ছিল। তবে মৃতার দাদার অভিযোগ, ‘‘বাবুসোনা প্রায়ই আমার বোনকে রাস্তাঘাটে বিরক্ত করত। জোর করে সিঁদুর পরিয়ে দিতেই অপমানে বোন আত্মহত্যা করেছে। পুলিশকে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমরা ওর শাস্তি চাই।’’ তিনি জানান, বোনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে তাদের অনুমান, দু’জনের মধ্যে আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তবে মেয়েটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে সিঁদুর পরানো হলে তা অন্যায়। এ দিন ধৃতকে কাটোয়া আদালতে তোলা হলে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। বিল্বেশ্বর পঞ্চায়েতের প্রধান কণিকা বৈরাগ্য বলেন, ‘‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy