মঙ্গলকোটে পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগে মারধর, বিক্ষোভ চলল বৃহস্পতিবারও। বেশ কিছু জায়গায় পড়েছে পোস্টার।
কাটোয়ার সরগ্রামে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। স্থানীয় পুঁইনি গ্রামের তৃণমূল নেতা উদয়চাঁদ সরকারের অভিযোগ, ২২ জুন সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে হুমকি দিয়েছিলেন কয়েক জন বিজেপি কর্মী। ফোনেও তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে খুন ও জমি দখল করে নেওয়ার ‘হুমকি’ দেওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের কয়েক জন তাঁকে মল্লিকপুর পশ্চিমপাড়ে নিয়ে গিয়ে আটকে মারধর করে বলেও তাঁর অভিযোগ। কৈচরে দলীয় কার্যালয় থেকে ফেরার পথে মোটরবাইক থামিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সরগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কেয়া প্রামাণিকের স্বামী বংশধরবাবুকেও। দুই নেতারই অভিযোগ, ‘‘হামলকারীরা বিজেপির লোকজন।’’ কাটমানি নেওয়ার কথাও মানেননি তাঁরা। বিজেপির জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের অবাধ দুর্নীতির জন্য দিক দিকে ওঁদের মার খেতে হচ্ছে। ওই গ্রামে বিজেপি শান্তিপূর্ণ ভাবে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল। কোনও হামলার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই।’’
খণ্ডঘোষেও পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রীর কাছ থেকে ‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই নেত্রী বাসবী রায় অন্তত তিনটে পুকুর সংস্কার, বাংলা আবাস যোজনার নামে টাকা নিয়ছেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রূপালি খাতুনের দাবি, ‘‘আমার মায়ের নামে ঘর তৈরির টাকা এসেছিল। টাকা তুলতে প্রাক্তন সভানেত্রীর ঘনিষ্ঠের হাতে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।’’ যদিও বাসবীদেবীর দাবি, “সব অপপ্রচার। একশো দিনের কাজ থেকে ঘর তৈরির জন্যে নাম বাছাই সবটাই পঞ্চায়েত করে। পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি চলে বর্তমান ব্লক সভাপতির কথায়।’’ খণ্ডঘোষের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের দাবি, “এ সব কথার কোনও মূল্যই নেই।’’
দেওয়ানদিঘির কুড়মুনে একাধিক জায়গায় ‘গরিব মানুষদের শত্রু টিএমসি (চোর)। এই চোরদের যারা আশ্রয় দিচ্ছে তারা ‘সাবধান’। মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না’ এই মর্মে পোস্টার পড়েছে। তৃণমূলের দাবি, পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। কাটমানি ফেরত চেয়ে পোস্টার পড়েছে মঙ্গলকোটের রামনগর-মল্লিকপুরেও। ওই পোস্টারে স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কাজল মাজি ও সোনা বাগের নাম করে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। কোন কোন প্রকল্পে টাকা নেওয়া হয়েছে লেখা রয়েছে তাও। সুব্রতবাবুর নামে রামনগর ফুটবল ময়দান দখলের অভিযোগেও পোস্টার পড়েছে। সুব্রতবাবুর দাবি, ‘‘এলাকায় বিশৃঙ্ক্ষলা তৈরির জন্য বিজেপি এ সব করছে।’’ কাটোয়ার খাজুরডিহিতেও তৃণমূল নেতা তরুণ ঘোষালের নামে একশো দিনের কাজে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই নেতার দাবি, ‘‘বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অশান্তি ছড়াতে এমনটা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy