বর্ধমানে সভায় অধীর। নিজস্ব চিত্র
নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং এনআরসি-র বিরোধিতায় আয়োজিত সভায় যোগ দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য—দুই সরকারকেই আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। বর্ধমান স্টেশনে ভবন ভেঙে পড়ার প্রসঙ্গ তুলে রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগেও সরব হন প্রাক্তন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর।
বর্ধমানের কার্জন গেটে শনিবার সভার আয়োজন করে জেলা কংগ্রেস। সেখানে অধীরের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি বা আরএসএস স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেয়নি। এখন তারা দেশভক্তি দেখাচ্ছে। দেশকে ভাগ করার চেষ্টা করছে ওরা। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।’’ এনআরসি-র খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি দাবি করেন, ‘‘সরকারের টাকা নেই, নিজে চলতে পারছে না। একের পরে এক ট্রেন বিক্রি করে দিচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না, বর্ধমান স্টেশন ভেঙে পড়ছে।’’
রাজ্যের শিল্প-পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীর। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারটি শিল্প সম্মেলন করেছেন। প্রতি বার ঘোষণা করেন, হাজার-হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি।’’ এ দিনের সভায় ছিলেন কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ ভট্টাচার্য, জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি গৌরব সমাদ্দারেরা।
বিজেপির জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দী পাল্টা দাবি করেন, ‘‘দেশের মাথায় যে ঋণের বোঝা, তার দায় কংগ্রেস নেয়নি। কেন্দ্র যা করছে তা দেশের স্বার্থে। বর্ধমান স্টেশন তৈরির সময়ে বিজেপি ছিল না। তার পরে অনেক সরকার এসেছে, তারা কোনও নজর দেয়নি।’’ পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা দেবু টুডুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কংগ্রেসের কথাকে মানুষ এখন আর গুরুত্ব দিচ্ছেন না।’’ কালনার কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এই সভায় এসে তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে কংগ্রেস নেতাদের দাবি। যদিও তৃণমূল তা মানতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy