বিতর্কে বিজেপি নেতা অভিজিৎ তা। — নিজস্ব চিত্র।
বলরামকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা। তাঁর দাবি, প্রাচীনকালে বলরাম সেচব্যবস্থা চালু করেছিলেন। আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁর বক্তব্য, দিনভর খাটাখাটনি করতেন বলে সন্ধেয় বলরাম সুরাপান করতেন। অভিজিতের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল।
সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে অভিজিতের একটি ভিডিয়ো। ওই ভিডিয়োয় তিনি বলেন, ‘‘বলরামদেব ওই প্রাচীন কালে, তখনকার দিনে সেচব্যবস্থা চালু করেছিলেন। যাতে চাষাবাদ ঠিকমতো হয়। উনি সব ব্যাপারেই ছিলেন খুব দায়িত্বশীল। আর এত খাটাখাটনি করতেন বলে উনি সন্ধ্যাবেলায় একটু সুরা গ্রহণ করতেন। সুরাপান করতেন। কিন্তু সুরাপান করলেও উনি নিজেকে ঠান্ডা রেখে ঘুমিয়ে যেতেন এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুধু কাজের মধ্যে থাকতেন। ওঁর আর একটা গুণ ছিল যে, উনি কোনও সময় পক্ষপাতিত্ব করতেন না।’’
অভিজিতের এমন মন্তব্য নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের প্রবীণ বিজেপি নেতা নরেশ কোনার বলেন, ‘‘ওঁর এমনটা বলা উচিত হয়নি। উনি এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন জানি না। দেবতাদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।’’
অভিজিতের মন্তব্য নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা দেবতাদের কাছাকাছি থাকেন তো। তাই বলেছেন। আসলে ওঁরা বিকৃতমনস্ক। ওঁদের নেতা তথাগত রায় তো বলেই দিয়েছেন বিজেপি দলটা মণিকাঞ্চনে আসক্ত।’’
সমালোচনায় অবশ্য দমছেন না অভিজিৎ। তাঁর মতে, ‘‘দিন কয়েক আগে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের চকদিঘি এলাকায় একটি পুজোর অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই আমি বলি, বলরাম সুরা পান করতেন। আমি বইপত্র পড়াশোনা করে এবং সংস্কৃত পণ্ডিতদের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়টি জেনেছি। সুরা মানে সবসময় মদ নয়। সুরার আর এক অর্থ হচ্ছে কারণসুধা। অর্থাৎ বলবর্ধক সুধা। এখন যাকে আমরা ‘টনিক’ বলছি। এর মধ্যে কোনও মিথ্যা নেই। সুরার ব্যাখ্যা বিরাট। সুরা মানেই মদ নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy