বাঁ দিকে, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিজন। ডান দিকে, এখানেই মেলে দেহ। ছবি: কাজল মির্জা।
এক তরুণকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল গলসিতে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি তন্ত্রসাধনা করেন বলে এলাকাবাসীর একাংশের দাবি। রবিবার এই ঘটনার খবর জানাজানির পরে ক্ষোভ তৈরি হয় গলসির খেতুড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নান জিৎ দানা (১৯)। বাড়ি খেতুড়া গ্রামেই। মৃতের পরিজনদের দাবি, শনিবার রাত থেকে তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। রবিবার সকালে তন্ত্রসাধক বলে পরিচিত ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে তাঁর দেহের খোঁজ মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ডিভিসি সেচখালের পাশে দয়ালপুর ও সারুলের মাঠে একটা ঝোপের পাশে কেটে নেওয়া ধানজমিতে বিবস্ত্র দেহ পড়েছিল। কপাল, বুক ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না-তদন্তে পাঠায়। কাছাকাছিই মেলে জিতের পোশাক। বাসিন্দাদের দাবি, ওই ঝোপের কাছে একটি কালীমূর্তি রয়েছে। বছরে এক বার পুজো হয় সেখানে।
জিৎ রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ করতেন। তাঁর বাবা সমীর দানা পুরুলিয়ার একটি চালকলের কর্মী। তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী অসুস্থ। বছরখানেক আগে ওই তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই থেকে পরিচয়। তার পর থেকে আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল ওই তান্ত্রিকের।” মৃতের মা মিতা বলেন, “ওই তান্ত্রিকের চালচলন ঠিক মনে হয়নি। তাই বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছিলাম। ছেলেকেও মেলামেশা করতে মানা করা হয়েছিল।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল পর্যন্ত জিৎ বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। ওই তান্ত্রিকের কাছেও যাওয়া হয়। মৃতার মাসি রূপা গড়াইয়ের দাবি, ‘‘তখন ওঁর কথায় সন্দেহ হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা এক মহিলার মোবাইল যাচাই করে জানতে পারি, জিতকে আগের রাতে ছ’বার ফোন করা হয়েছিল। তার পরেই ওঁদের চেপে ধরা হলে খুনের ঘটনা জানা যায়।” স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন গড়াই, মধু ক্ষেত্রপালদের দাবি, “সবাই চাপ দিতেই তান্ত্রিক জানিয়ে দেন, জিতের দেহ কোথায় পড়ে রয়েছে। আমরা গিয়ে প্রথমে পোশাকগুলি দেখতে পাই। খোঁজাখুঁজি করে দেহ মেলে।”
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তরুণকে। খুনের পরে দেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। এর পিছনে কী কারণ রয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy