ছবি: সংগৃহীত
ভোটার তালিকার তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার জন্য ব্লক, মহকুমা, পঞ্চায়েত অফিসে পড়ছে লম্বা লাইন। কিন্তু বেশির ভাগ সময়েই ‘সার্ভারে গোলমাল’ বলে সেখান থেকে জানানো হচ্ছে। বাড়ছে ভোগান্তি। পাশাপাশি, সরকারি কর্মীদের একাংশ সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার নিদানও দিচ্ছেন বলে অভিযোগ কাটোয়ার বাসিন্দাদের একাংশ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। প্রশাসন যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত নানা তথ্য যাচাই শুরু হয়েছে। তা চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। পুজোয় সরকারি নানা অফিস বন্ধ থাকবে। এই পরিস্থিতিতে পুজোর আগে অফিসগুলির সামনে লম্বা লাইন পড়ছিল। কিন্তু পানুহাটের বাসিন্দা উত্তম শেখ, খোকন শেখেরা বলেন, ‘‘ব্লক অফিস বা সরকারি অফিসগুলিতে গেলেই বলা হচ্ছে সার্ভার খারাপ। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের কেউ কেউ বলছেন সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ভোটার তালিকার তথ্য যাচাই বা সংশোধনের কাজ করুন।’’ তাঁরা জানান, তা করাতে গেলে খরচ হচ্ছে ৫০ থেকে একশো টাকা। বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, যে কাজ সম্পূর্ণ বিনা খরচায় হওয়ার কথা সেখানে, খরচ হবে জেনেও কী ভাবে ক্যাফেতে যেতে বলা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ও সিপিএম-ও। বিজেপি নেতা অনিল দত্তের অভিযোগ, ‘‘সরকারি স্তর থেকেই মানুষকে হয়রান করা হচ্ছে। এক শ্রেণির সরকারি কর্মী মানুষকে ভোটার তালিকার তথ্য যাচাইয়ের কাজের জন্য সাইবার ক্যাফেয় পাঠাচ্ছেন।’’ সিপিএম নেতা প্রকাশ সরকারেরও অভিযোগ, ‘‘প্রশাসন মানুষকে ঘোরাচ্ছে। তাই নানা এলাকায় আমরা দলীয় ভাবে শিবির করছি।’’ এই পরিস্থিতিতে ঘোষহাটের মেঘারানি ঘোষ, ঘুটকিয়াপাড়ার বিনোদ সিংহদের অভিযোগ, ‘‘নেটওয়ার্কের গোলমাল শুধরে প্রশাসনেরই এই কাজে গতি আনা দরকার।’’
যদিও সাইবার ক্যাফেয় পাঠানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক (কাটোয়া) সৌমেন পাল বলেন, ‘‘এমন অভিযোগ পাইনি।’’ ‘সার্ভারে গোলমাল’ প্রসঙ্গে অবশ্য সৌমেনবাবু বলেন, ‘‘নেটওয়ার্কের সমস্যার কথা জানি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy