আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মহিলার সোনার হার ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ইমরান শেখ। বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার সিয়ান হাসপাতাল মসজিদপাড়ায় তাঁর বাড়ি। ঘটনায় পুলিশি হেপাজতে থাকা সারাফতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছিনতাইয়ে ইমরানের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ। শনিবার রাতে তাঁকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার মহিষগ্রামে হানা দেয় পুলিশ। ঘটনার পর সেখানে আত্মগোপন করেছিলেন ইমরান। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইমরানকে রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তাঁরই সঙ্গে পেশ করা হয় সারাফতকেও। ছিনতাই হওয়া সোনার চেন এবং দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করা বাইক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে দু’জনকে সাত দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। দু’জনের চার দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছু দিন আগে দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি আমবাগান এলাকার বাসিন্দা রাজা দত্ত সপরিবারে ভাতারের ওড়গ্রামের ইকো পার্কে যান। সেখানেই তাঁর স্ত্রী এবং কয়েক জন সঙ্গী প্রাতর্ভ্রমণে বার হন। সে সময় বাইকে চেপে আসা দুই দুষ্কৃতী তাঁর স্ত্রীকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। ঘটনার দিনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজা। কেস রুজু করে তদন্তে নেমে আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। তা খতিয়ে দেখে ঘটনায় সারাফত জড়িত বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। গত সোমবার রাতে ভাতার থানার মুরাতিপুর বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন আদালতে পেশ করে তাঁকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ।