Advertisement
E-Paper

জামিনদার নেই, জামিন পেয়েও জেলে পাঁচ মাস

আইনজীবীদের থেকে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী নথিভুক্ত আইনজীবী এবং মুহুরিরা বেল বন্ড জমা দিতে পারেন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ সব ক্ষেত্রে নগদ টাকা জমা দিতে হয় না।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৯
Share
Save

শ্লীলতাহানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন-সহ কয়েকটি অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল পূর্বস্থলীর চুপি গ্রামের যুবক জাকির দফাদারকে। কালনা আদালত সেই মামলায় মাস পাঁচেক আগে তাঁকে জামিন দিয়েছিল। পুলিশ ও কারা দফতর সূত্রে খবর, জামিনদার না মেলায় এখনও জাকিরের দিন কাটছে কালনা উপ-সংশোধনাগারে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের পরে আদালতের নির্দেশে গত ১২ এপ্রিল কালনা উপ-সংশোধনাগারে আনা হয়েছিল জাকিরকে। ২৮ জুন আদালত ছ’হাজার টাকার বেল বন্ড জমা দেওয়ার শর্তে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। কিন্তু জাকিরের হয়ে বেল বন্ড দিতে কেউ এগিয়ে আসেননি। জামিন পাওয়ার পরে দু’বার তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছিল। ফের ২০২৪-র ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করানো হবে জাকিরকে।

আইনজীবীদের থেকে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী নথিভুক্ত আইনজীবী এবং মুহুরিরা বেল বন্ড জমা দিতে পারেন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ সব ক্ষেত্রে নগদ টাকা জমা দিতে হয় না। জামিনদারকে জানিয়ে দিতে হয়, আদালত চাইলে জামিন যিনি পেলেন, তিনি নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হবেন। এর জন্য অভিযুক্তের পরিবারকে বেল বন্ডের একাংশ দিতে হয় সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অথবা মুহুরিকে।

আইনজীবীদের দাবি, জামিনে মুক্ত অভিযুক্তকে ঠিক সময়ে আদালতে হাজির করাতে না পারলে বিচারকের নির্দেশে জরিমানা হতে পারে বেল বন্ডে স্বাক্ষরকারীর। এমনকি, তাঁর লাইসেন্স বাতিলের মতো কড়া সিদ্ধান্তও নিতে পারে আদালত। সে কারণে জামিনে মুক্ত ব্যক্তির বাড়ি খুব দূরে হলে বা অন্য অনেক কারণে বেল বেন্ড দিতে অনীহা থাকে আইনজীবী ও মুহুরিদের। কালনা উপ-সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের পরে জাকিরের খবর নিতে আসেননি তাঁর পরিবারের কেউ। কালনা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রসেনজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘জামিন পাওয়ার পরেও অভিযুক্তকে সংশোধনাগারে কাটাতে হবে, এটা কাম্য নয়। দ্রুত বিষয়টি জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা উচিত।’’

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কালনা উপ-সংশোধনাগারের কন্ট্রোলার অর্পণজ্যোতি চক্রবর্তী। জেল সুপার তথা কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল বলেন, ‘‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে কথাবলা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalna Bail

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}