প্রতীকী ছবি।
সিপিএমের দলীয় কোন্দলের জের অব্যাহত ছাত্র সংগঠনে। পূর্ব বর্ধমানে এসএফআইয়ের সদ্যসমাপ্ত জেলা সম্মেলনে গঠিত জেলা কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন বিক্ষুব্ধ চার ছাত্র নেতা। সংগঠনের জেলা সম্পাদককে বুধবার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন সন্দীপ সাঁতরা, সুবীর ঘোষ, নীলমাধব পাল ও সাগর দলুই। তাঁদের মূলত অভিযোগ, বর্ধমান শহর আর দক্ষিণ দামোদরের রায়না, খণ্ডঘোষ থেকে জেলা সংগঠনে ‘অগণতান্ত্রিক’ ভাবে কিছু মুখ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বারবার বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন কাটোয়া, জামালপুর, ভাতার, গলসির মতো এলাকার নেতা-কর্মীরা। পদত্যাগীদের মধ্যে তিন জনই কাটোয়ার, যেখানে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিকের বাড়ি। অর্থাৎ ছাত্র সংগঠনে দলের জেলা নেতৃত্বের ‘খবরদারি’র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হল খোদ জেলা সম্পাদকের এলাকা থেকেই!
এ বারের এসএফআই জেলা সম্মেলনে ছাত্রদের বড় অংশের মতামত উপেক্ষা করে জেলা সম্পাদক ও জেলা সভাপতিকে পুনর্নিয়োগ করা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। গত ৮ জানুয়ারি ছাত্র ধর্মঘটের দিন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলে শিক্ষকদের ঢুকতে বাধা ও অভিভাবকদের ধাক্কা মারার অভিযোগে স্থানীয় জনতার হাতে এসএফআইয়ের যে জেলা সম্পাদকের প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় বাম শিবিরে বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছিল, তাঁকেই আবার পদে বহাল রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। ‘অগণতান্ত্রিক’ ভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগেই জলঘোলা চলছে ছাত্র সংগঠনের অন্দরে। এরই মধ্যে ২৫-২৬ জানুয়ারি কাটোয়ায় সিপিএমের যুব সম্মেলন হতে চলেছে। সিপিএম সূত্রের খবর, দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য, জেলা নেতৃত্বের এক ‘পছন্দের মুখ’কে ডিওয়াইএফআই-এর জেলা সম্পাদক বা সভাপতি পদে আনা হতে পারে। তেমন কিছু ঘটলে যুব সম্মেলনেও ঝড় ওঠার আভাস মিলছে দলীয় সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy