প্রতীকী ছবি।
এটিএম কার্ড নিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, রবিবার সুজিত মণ্ডল, রোহিত খান, অমিত পাইক, সৌরভ মণ্ডল নামে চার জনকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে ধরা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ১৮টি সিম কার্ড ও কয়েক হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ জানায়, গত ৭ অগস্ট মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলে বেরনোর সময়ে চৌধুরী আব্দুল বোরহানকে ওই অভিযুক্তেরা জানান, এটিএম-এ কার্ডের সঙ্গে যুক্ত লেনদেন ‘ক্যানসেল’ হয়নি। এর পরেই ওই অভিযুক্তদের এক জন ‘সাহায্য’ করার নাম করে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে এটিএম কার্ডের পিন নম্বর জেনে নেয় এবং আসল কার্ডটি বদলে দিয়ে সে রকমই দেখতে একটি নকল কার্ড হাতে ধরিয়ে দেয়। বোরহানের অভিযোগ, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ সাড়ে ১৩ হাজার টাকা ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
তদন্তে নেমে পুলিশ সংশ্লিষ্ট এটিএম-এর আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। পুলিশ জানায়, ফুটেজ থেকেই ঘটনার দিন অভিযুক্তদের ব্যবহৃত গাড়িটির নম্বর জোগাড় করা সম্ভব হয়। তা থেকে হদিস মেলে সোনারপুরের বাসিন্দা গাড়ির মালিকেরও। তদন্তকারীরা জানান, ওই গাড়িটি মহম্মদবাজার ও তারাপীঠের দু’টি পেট্রল পাম্পে তেল ভরে। এর মধ্যে একটি পেট্রল পাম্প থেকে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য জোগাড় করে।
পুলিশ জানায়, গাড়ির মালিকের থেকে জানা যায়, তাঁর কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকার বিনিময়ে গাড়িটি ভাড়া করেছিল অভিযুক্ত যুবকেরা। সেই সূত্রেই শনিবার মন্তেশ্বর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকত মণ্ডলের নির্দেশে এএসআই রাজেশ মাহাতো-সহ চার জন পুলিশকর্মী সোনারপুরে যান এবং এ দিন অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের আরও অনুমান, সিম কার্ডগুলি ব্যবহার করেও অনলাইন-প্রতারণা করত অভিযুক্তেরা।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সৈকত ঘোষ বলেন, ‘‘ধৃতেরা নানা অছিলায় এটিএম কার্ড হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা চালাত। তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আরও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy