প্রতীকী ছবি
মাথায় গুরুতর চোট থাকায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে কলকাতায় ‘রেফার’ করা হয়েছিল রোগীকে। জরুরি বিভাগের সামনেই তাঁকে কম খরচে ভাল চিকিৎসার টোপ দিয়ে অন্য নার্সিংহোমে ভর্তি করানোর চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এক যুবক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দালালদের থেকে সাবধান হওয়ার কথা প্রতিদিন প্রচার করা হয়। পোস্টারও রয়েছে সর্বত্র। তার পরেও এমন ঘটনা ঘটছে। রোগী ও রোগীর পরিবার সর্তক না হলে দালালচক্র রোখা মুশকিল।
পুলিশ জানায়, ধৃত হৃদয় দত্তের বাড়ি হুগলির ব্যান্ডেলে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাশের অ্যাম্বুল্যান্স স্ট্যান্ডে তিনি গাড়ি চালান বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, হাসপাতালে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কাজ করেন এমন লোক জড়িত রয়েছে এই চক্রে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার আসানসোল থেকে রেফার হয়ে বর্ধমান হাসপাতালে আসেন বছর তেইশের টিপু সুলতান। দিন চারেক আগে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তিনি আহত হন। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে কলকাতায় পাঠানো হয় তাঁকে। পরিজনদের দাবি, কলকাতা নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করতেই ধৃত হৃদয় হাজির হন তাঁদের কাছে। কলকাতা না নিয়ে গিয়ে বর্ধমানের এক নার্সিংহোমে চিকিৎসার কথা বলেন তিনি। ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই টাকাপয়সা দিতে হবে না, কম খরচে চিকিৎসা-সহ একাধিক প্রলোভন দেওয়া হয় রোগীর পরিজনদের। কলকাতা না নিয়ে যাওয়ার জন্যও জোরাজোরি করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই যুবককে। পরে বর্ধমান থানা তাঁকে গ্রেফতার করে।
ওই রোগীর স্ত্রী সাহেবা খাতুন বলেন, ‘‘আমরা ওই যুবকের কাছে কোনও সাহায্য চাইনি। উনি নিজে এসেই কলকাতা না নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করেন। ‘কলকাতায় গিয়ে বেড পাওয়া যাবে না, ভাল চিকিৎসা হবে না’ এ সব বলে ভায় দেখানোর চেষ্টা করেন।’’ রোগীর আত্মীয় মহম্মদ মিরাজ নাসির, সাকিলা খাতুনদেরও দাবি, ‘‘হাসপাতালের মধ্যেই দালালদের হাতে পড়তে হবে, ভাবতে পারিনি।’’ পুলিশের পরামর্শ, কোনও প্রয়োজন হলে কাউকে জিজ্ঞাসা না করে হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্রে খোঁজ নেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy