লক্ষ্মীরতন শুক্লর পদত্যাগকে সমর্থন করে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বৈশালী ডালমিয়া।
লক্ষ্মীরতন শুক্ল দল ছাড়ায় ক্ষুব্ধ বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। লক্ষ্মীকে দলের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ তুলে কার্যত লক্ষ্মীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন বৈশালী। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূলেরই কিছু লোকই বিরোধিতা করছেন’। ভিতরে ভিতরে ‘উইপোকা’র মতো অনেকে তৃণমূলের ক্ষতি করছে বলে কার্যত দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। লক্ষ্মীর দল ছাড়ায় তৃণমূলের ক্ষতি হবে বলেও মনে করেন বৈশালী।
মঙ্গলবার মন্ত্রিত্ব এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। ইস্তফাপত্রে লক্ষ্মী জানিয়েছেন, আপাতত রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে খেলায় ফিরতে চান তিনি। যদিও হাওড়ায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে দলের একাংশের মত।
বৈশালীও লক্ষ্মীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, দলের মধ্যেই একাংশের বিরোধিতা। বৈশালী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘দল ছাড়লেই অনেকে বেইমান বলতে শুরু করবে। কিন্তু যাঁরা ভিতরে ভিতরে উইপোকার মতো দলকে নষ্ট করেছেন, তাঁরা কি বেইমান নয়?’’ তাঁর কথায় ‘‘দলের একটা অংশ আছেন, যাঁরা শুধু লক্ষ্মীকে নয়, আমাদের অনেককেই কাজ করতে দিচ্ছে না। পুরনো কর্মীকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। তারা তো আরও বেশি বেইমান। আমার মনে হয় এই বেইমানগুলোকে বের করে দেওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল, কী কারণে ইস্তফা, বাড়ছে জল্পনা
এই শ্রেণির নেতাদের তাড়িয়ে দেওয়ার সুপারিশও করেছেন বৈশালী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দলের উপর মহলও নিশ্চয়ই বিষয়টা জানেন। তাই তাঁরা নিশ্চয়ই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের দলের মধ্যে কিছু কিছু নেগেটিভ মাইন্ডের মানুষ আছেন, যাঁরা আগে দলে ছিলেন না। তাঁরা ক্রমাগত বিরক্ত করে যাচ্ছেন। তারা কাজ করতে দেন না। কাজ করতে গেলে আরও জ্বালাতন করেন। দলের বিধায়ককে তাঁরা ছোট করতে চান।’’
আরও পড়ুন: দাদার দাদাগিরি অটুটই থাকবে, সাফ জানিয়ে দিলেন বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি
লক্ষ্মী দলের সভাপতি পদ ছাড়ায় তাঁকে কাঠগড়ায় তুলে মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেছেন, ‘যুদ্ধের আগে সেনাপতি’র সরে যাওয়া। অন্য দিকে রাজ্য নেতাদের দাবি, লক্ষ্মীর এই সিদ্ধান্তে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। যদিও বৈশালীর মতে, ‘‘চেয়ারের একটা একটা পা কাটলে, গোটা চেয়ারটাই এক সময় পড়ে যায়।’’ তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy