সুকান্ত মঞ্চে আয়েষা (বাঁ দিকে) এবং লাদিদা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
ধর্মীয় স্লোগান কি রাজনৈতিক প্রতিবাদের ভাষ্য হতে পারে? ‘বন্দে মাতরম্’ স্লোগানকে কি অস্ত্র করতে পারে বাম-উদারপন্থীরা? জনতার সাহিত্য উৎসবে শনিবার এই চর্চাই উঠে এল। যেখানে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়েষা রেনা এবং লাদিদা ফরজানা প্রত্যয়ী স্বরে জানালেন, সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর বিরোধী লড়াইয়ে ধর্মীয় স্লোগানই তাঁদের প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের ভাষা।
ফুলবাগানের সুকান্ত মঞ্চে জনতার সাহিত্য উৎসবে এ দিন ‘প্রতিরোধের ভাষা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন আয়েষা এবং লাদিদা। যাঁরা গত ডিসেম্বরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের উদ্যত লাঠির সামনে দাঁড়িয়ে বন্ধু শাহিন আবদুল্লাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছেন ওই দুই ছাত্রী।
সুকান্ত মঞ্চে এ দিন তাঁরা ব্যাখ্যা করেন, ওই দিনের লড়াইয়ের পর কী ভাবে তাঁরা একই সঙ্গে বিজেপি-আরএসএস এবং প্রগতিশীলদের নিশানা হয়েছেন। আয়েষার কথায়, ‘‘জামিয়া মিলিয়ায় যে হেতু অনেক মুসলিম ছাত্রছাত্রী পড়েন, তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসের জায়গা বলে প্রচার করে আরএসএস। তবে আমরা যে হেতু হিজাব পরি, ধর্মীয় স্লোগান দিই, তাই বাম-উদারবাদীরাও আপত্তি করেছিলেন। বলেছিলেন, ওগুলো বাদ দিয়ে প্রতিবাদের মঞ্চে যেতে।’’ এই প্রেক্ষিতেই আয়েষা এবং লাদিদার বক্তব্য, ‘‘সিএএ এবং এনআরসি দিয়ে মুসলিমদের নিশানা করা হচ্ছে। সুতরাং, মুসলিম হিসাবে আমি আমার পরিচয় তুলে ধরবই।’’ পাশাপাশি, লাদিদা বলেন, ‘‘আমি হিজাব পরি আমার ইচ্ছায়। ধর্ম বা পরিবারের কেউ আমাকে বাধ্য করেনি।’’ বস্তুত, সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর বিরোধী আন্দোলনকে নিজেদের জাতিসত্তার রাজনৈতিক লড়াই হিসাবে দেখছেন আয়েষা, লাদিদারা। স্বাধীন ভারতে শুধু মুসলিমদেরই কেন বার বার নিজেদের দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয়, সে প্রশ্নও এ দিন তুলেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy