অয়নের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছুই জানতেন না দাবি স্ত্রী কাকলির। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নিয়োগ মামলায় ধৃত স্বামী অয়ন শীলের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সম্পর্কে তিনি মোটেও ওয়াকিবহাল নন। একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি স্ত্রী কাকলি শীলের। স্বামীর প্রযোজনায় শ্বেতা চক্রবর্তীর সিনেমায় অভিনয় নিয়ে অয়নের স্ত্রীর দাবি, তিনি এ কথা অনেক পরে জানতে পেরেছেন। যখন জেনেছেন তখন আর কিছু করার নেই।
অয়নের পত্নী দাবি করেছেন, স্বামীর ব্যবসায়িক কাজকর্ম সম্পর্কে তিনি মোটেই ওয়াকিবহাল নন। ঘর-গৃহস্থালি সামলাতেই তিনি ব্যস্ত থাকতেন। পাশাপাশি কাকলির দাবি, গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে তিনি এবং অয়ন একসঙ্গে থাকেন না। শেষ ৪ বছর কাকলির ঠিকানা দিল্লি। তবে স্বামীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে। অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজ়োনে তিনিও অন্যতম ডিরেক্টর বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই অভিযোগ প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, ‘‘ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। যে ভাবে লোকে জেনেছে, আমিও সে ভাবেই জেনেছি। ওঁর সংস্থার ডিরেক্টর ছিলাম সেটা জানতাম। কিন্তু আমি ডিরেক্টর থাকতে চাইতাম না। অনেক বার বলেছি ডিরেক্টর থাকব না। অয়ন ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে আমাকে কিছু বলত না। আমার নামে যদি কিছু কিনে রাখে, আর আমাকে না জানায়, তা হলে কী করে আমি জানব?’’ ছেলে অভিষেকের নামে যে অয়ন পেট্রল পাম্প করেছিলেন, সেই বিষয়েও তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন বলে দাবি কাকলির।
এই প্রসঙ্গেই ওঠে শ্বেতা চক্রবর্তীর প্রসঙ্গও। কাকলিকে প্রশ্ন করা হয়, অভিযোগ উঠছে, শ্বেতাকে একটি দামি সেডান গাড়ি দিয়েছিলেন অয়ন। এবিএস ইনফোজ়োন বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনা করেছে সেখানে অভিনয় করেন শ্বেতা, এ ব্যাপারে কিছু জানতেন? কাকলি বলেন, ‘‘এটা অনেক পরে আমি জেনেছি। প্রথমে পুরোটাই অন্ধকারে ছিলাম। আমি জানতাম না। জানলে হয়তো আরও বেশি করে বাধা দিতাম। কিন্তু যখন জেনে বাধা দিয়েছি তখন আর কিছু করার নেই।’’
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বলাগড়ের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিনতেন কাকলি। চুঁচুড়ায় অয়নের ফ্ল্যাটে তাঁকে এক-দু’বার আসতেও দেখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কাকলি বলেন, ‘‘শান্তনুদাকে ফ্ল্যাটে এক বার কি দু’বার দেখেছি যাতায়াতের পথে। প্রচুর বডিগার্ড নিয়ে ঘুরতেন, সেটা দেখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy