E-Paper

‘হুইপ’ মমতাই, হিসাব তৃণমূলের

রাজ্য বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনের শেষ দু’দিনে বিধায়কদের হাজিরা নিশ্চিত করতে ‘তিন লাইনের হুইপ’ জারি করেছিল তৃণমূল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ০৭:৩৩
Share
Save

তিন লাইনের ‘হুইপ’, না দুই শব্দের নাম? কার ভয় বেশি এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে চূড়ান্ত বিস্ময় তৈরি হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়।

তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের হিসেব বলছে, বিধায়কদের হাজিরার ক্ষেত্রে কার্যত অলঙ্ঘনীয় এই ‘তিন লাইনের ‘হুইপ’কে প্রায় ডজন গোলে হারিয়ে দিয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই শব্দের নাম। তৃণমূলের অন্দরে এই তথ্য প্রত্যাশিত হলেও পরিষদীয় রাজনীতিতে তা প্রায় অকল্পনীয়ই।

রাজ্য বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনের শেষ দু’দিনে বিধায়কদের হাজিরা নিশ্চিত করতে ‘তিন লাইনের হুইপ’ জারি করেছিল তৃণমূল। পরিষদীয় দলের তরফে তৃণমূলের সব বিধায়ককে জানানো হয়েছিল, শেষ দু’দিন, ১৯ ও ২০ মার্চ সকলকে অধিবেশনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে। সংসদ বা বিধানসভায় এই ‘হুইপ’ জারি করে নিজেদের বিধায়কদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবং ‘তিন লাইনের হুইপ’-এ অনুপস্থিতি কার্যত অসম্ভব। সন্তোষজনক কারণ না দেখিয়ে এই হুইপ’-এর পরে অনুপস্থিত থাকলে সাংসদ বা বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের সম্ভাবনাও থাকে। এ ক্ষেত্রে অধিবেশনের শেষ দু’দিনে অর্থ সংক্রান্ত বিল পাশ ও বিরোধীদের ‘সক্রিয়তা’র আশঙ্কায় এই হুইপ জারি করা হলেও দু’দিনে উপস্থিতির হার একেবারে বিপরীত। পরিষদীয় দলের হিসেব বলছে, ১৯ তারিখে তৃণমূলের ঘর উপচে পড়ছিল। ২২০ সদস্যের মধ্যে হাজিরা পৌঁছেছিল ২১২ থেকে ১৫। কিন্তু দ্বিতীয় দিন, ২০ মার্চ সেই হাজিরা নিয়ে টানাটানি পড়ে যায় শাসকের ঘরে। খোঁজখবর করে দেখা গিয়েছে মন্ত্রী-বিধায়ক মিলে তা ৭০ ছাড়ায়নি। ‘হুইপ’-এর এই দুই হালে বিস্মিত পরিষদীয় দল এবং বিধানসভার সচিবালয়ও।কিন্তু ঠিক কী কারণে এক ‘হুইপে’ পৃথক ফল? তৃণমূলের অন্দরের খবর, আগেই মুখেমুখে জানাজানি হয়ে গিয়েছিল, ১৯ তারিখ অধিবেশনে ‘দিদি আসছেন’! আগাগোড়া থেকে অধিবেশনের যে কোনও অংশে বলতেও পারেন দলনেত্রী মমতা। সেই মতো ‘দিদি’র উপস্থিতির ফলে ‘হুইপ’-এর প্রথম দিন শাসক বেঞ্চে বিধায়কদের উপস্থিতি ছিল একেবারে ঠাসা। আর সে দিনই ‘খবর’ হয়ে যায় দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২০ তারিখ ‘দিদি আসছেন না’। এই তথ্য জানিয়ে দলের পরিষদীয় ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত এক নেতা বলেন, ‘‘অবাক হলেও সত্যি। তিন লাইন নয়, তৃণমূলে সর্বোচ্চ ‘হুইপ’ আসলে একটি নামই!’’ তা হলে, বিধানসভার অধিবেশনেও তৃণমূলের এই তত্ত্বই সত্য? দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিষয়টিকে এ ভাবে দেখতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘দলের হুইপ মানা জরুরি। পরিষদীয় দল নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mamata Banerjee

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।