দাবি: চাঁচলে মিমের সভা। নিজস্ব চিত্র
বিহারে সাফল্য মিলেছে। এ বার পাখির চোখ এ রাজ্যের ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামী মাসে মালদহে আসার কথা মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসির। তার প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার মালদহের চাঁচলে সভা করলেন মিমের স্থানীয় নেতৃত্ব। সেই সভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানানো হয়। রাজ্য সরকারের ‘বঞ্চনার’ কথা তুলে ধরে সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের ঝুলিতে টানাই হবে মূল লক্ষ্য বলে দলীয় সূত্রে খবর। তবে মুখ্যমন্ত্রী যা করেছেন তার জন্য কেউই সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝাতে পারবে না বলে পাল্টা দাবি করেছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
বিহারের ঘটনা এখনও টাটকা। তারপর এই জেলায় মিম যে ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠছে তাতে তৃণমূলের পাশাপাশি উদ্বেগে রয়েছে কংগ্রেস ও বামেরাও। কারণ, সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশ এখনও বাম ও কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকে রয়েছে।
সোমবার চাঁচলের খানপুরে ওই সভার হাজির ছিলেন জেলা নেতা তথা আইনজীবী হুমায়ুন মিয়াঁ ও শতাধিক নেতাকর্মী। উপস্থিত নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল সরকার নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘুদের নিয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়নি। তৃণমূল ও বিজেপিকে মুদ্রার এ পিঠ এবং ও পিঠ বলেও সভায় কটাক্ষও করা হয়। লোক দেখানো ইফতার পার্টি করে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করেছে তৃণমূল বলেও অভিযোগ তোলা হয়। অথচ বঞ্চনা নিয়ে সরব হতেই মিমকে মুসলিম মৌলবাদী দল, উগ্র সাম্প্রদায়িক দল বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে সভায় দাবি করা হয়।
এ দিন মিমের জেলা আহ্বায়ক মতিউর রহমান বলেন, ‘‘মোদিজি দেশ বিক্রি করছেন। অন্য দিকে, বিজেপির জুজু দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের বোকা বানিয়ে ভোট লুঠ করছে তৃণমূল। সংখ্যালঘুরা এ সব বুঝতে পেরেই আমাদের দিকে ঝুঁকছেন। এ সবই জেলা জুড়ে প্রচারে তুলে ধরা হবে।’’
জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মুশারফ হোসেন পাল্টা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের জন্য যা করেছেন তা কেউই করতে পারবেন না। মিম যাতে সংখ্যালঘু মানুষদের ভুল বোঝাতে না পারে সেটা আমরা দেখব।’’
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেন, ‘‘আশা করি প্রকৃত কোনও বামপন্থী ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। তবু আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’’ মালতীপুরের কংগ্রেস বিধায়ক আলবেরুনি জুলকারনাইন বলেন, ‘‘বিজেপিকে সুবিধে পাইয়ে দিতেই ওরা শুধু সংখ্যালঘুদের টার্গেট করছে।’’ আর বিজেপির জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, ‘‘বিজেপি সংখ্যালঘুদের জন্যও অনেক কিছুই করেছে। ফলে আমাদের অন্য কারও সুবিধে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy