বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, উপযুক্ত সতর্কতা ছাড়াই আসানসোলে সভার আয়োজন করার হয়। ফাইল চিত্র।
কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। আসানসোলের সেই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে বললেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বুধবার তাঁর নির্দেশ, পুলিশ তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী শুনানিতে কেস ডায়েরিও নিতে আসতে হবে তাদের। তবে তদন্ত চালালেও গ্রেফতার করা যাবে না বিজেপি নেত্রী তথা আসানসোলের কাউন্সিলর চৈতালিকে।
বুধবার আসানসোলে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানান, চৈতালি অসত্য তথ্য দিচ্ছেন। এমনকি, তদন্তে ঠিক মতো সহযোগিতাও করছেন না। এর জবাবে অবশ্য পাল্টা পুলিশকেই বিচারপতি মান্থা বলেন, অভিযুক্ত তো অসত্য তথ্যপ্রমাণ দিতেই পারেন। পুলিশেরই তো কাজ সত্যি ঘটনা কী এবং আসল তথ্য খুঁজে বার করা। তবে এর পরে চৈতালির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেন পুলিশকে। তবে একই সঙ্গে বাড়িয়ে দেন চৈতালির রক্ষাকবচের মেয়াদ। আগেই চৈতালিকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তার মেয়াদ বুধবার আরও তিন সপ্তাহ বাড়িয়ে দেন বিচারপতি মান্থা। যার ফলে আপাতত তদন্তকারীরা এই মামলায় গ্রেফতার করতে পারবেন না চৈতালিকে।
প্রসঙ্গত, আসানসোলে একটি কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলার জেরে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩ জন। ঘটনাটি যেখানে ঘটে, সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি। যিনি নিজেও একজন কাউন্সিলর। ঘটনাচক্রে, ওই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটে শুভেন্দু সভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর। অভিযোগ, শুভেন্দু সভা ছাড়ার পরই কম্বল নেওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি পরে যায় অনুষ্ঠান স্থলে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকার জন্যই এমন হয়েছে বলে অভিযোগ করে শাসক দল তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy