বুধবার আসানসোল কোর্টে হাজির করানো হয়েছিল সুবোধ সিংহকে। —ফাইল চিত্র
প্রিজ়ন ভ্যানে বসে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে মুখে একগাল হাসি নিয়ে এ কথা বলতে বলতেই আসানসোল আদালত চত্বর ছাড়লেন ‘গোল্ডেন ডাকু’ সুবোধ সিংহ। এ বার তাঁর ঠাঁই হল আসানসোল জেলে।
১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার সুবোধকে আসানসোল আদালতে হাজির করানো হয়। কলকাতা থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কনভয় করে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল আদালতে। শুনানি শেষে আসানসোল আদালতের বিচারক অর্পিত ভট্টাচার্য সুবোধের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য দিকে, সিআইডির তদন্তকারী অফিসারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সুবোধের ‘শোন অ্যারেস্ট’-এর আবেদন করেছিল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। বিচারক তা খারিজ করে দিয়েছেন। ৩১ জুলাই আবার সুবোধকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আদালতের নির্দেশের পর সুবোধকে নিয়ে আসানসোল জেলের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। তাঁকে গাড়িতে তোলার সময় ঘিরে ধরে নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সেই সুবোধের উক্তি, ‘‘আপলোগ কেয়া বোল রহা হ্যায়, হামকো কুছ সমঝ মে নেহি রহা হ্যায়। অউর কিতনা বুরা বনাইয়ে গা হামে!’’ হাওড়ার ডোমজুড়ে ডাকাতিকাণ্ডে বিহার থেকে আশা মাহাতো ওরফে ‘চাচি’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, এক সময়ে সুবোধের দলের সঙ্গে যোগ থাকা ‘চাচি’ই ডোমজুড়ের ডাকাতির ঘটনার ‘মূলচক্রী’। এ নিয়ে বুধবার সুবোধকে প্রশ্ন করা হয়। জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি ‘চাচি’কে চেনেন কি না। তার জবাবে সুবোধ বলেন, ‘‘হা, হামারে ঘর মে ভি চাচি হ্যায়!’’
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগে সুবোধকে রানিগঞ্জের একটি ডাকাতির মামলায় এ রাজ্যে নিয়ে আসে সিআইডি। সেটি ছাড়াও সুবোধের বিরুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে, যার কয়েকটি সিআইডির তদন্তাধীন। ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনে সুবোধ জড়িত বলেও অভিযোগ। তার তদন্ত ফের শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy