উৎসবের মরসুম কেটে গেলেই শুরু হতে পারে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির।
উৎসেবর মরসুম শেষ হলেই ফের শুরু হতে পারে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। সম্প্রতি নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর। এ বছর অক্টোবর মাসেই দুর্গাপুজোর সঙ্গেই লক্ষ্ণী ও কালী পুজো। পাশাপাশি, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই জগদ্ধাত্রী পুজো-সহ রাস পূর্ণিমার মতো উৎসবগুলিও শেষ হয়ে যাবে। তাই আর কালবিলম্ব না করেই নভেম্বর মাসের শুরুতেই হতে পারে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন, দুর্গাপুজো মিটলেই হবে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। তাই উৎসবের রেশ কেটে গেলেই যাতে শিবির শুরু শিবির করা যায়, সেই প্রস্তুতিই এগিয়ে রাখছে নবান্ন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের পরামর্শে রাজ্য জুড়ে ‘দুয়ারে সরকারে’র শিবির বসায় রাজ্য। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় ওই শিবিরগুলি থেকে। সেই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি করার ফল মেলে হাতেনাতে। ২১৩টি আসন নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরেন মমতা। ক্ষমতায় ফেরার পরেও ২০২১ সালের দু’দফায় এই কর্মসূচি হয়েছিল। আর এ বছর গ্রীষ্মকালে প্রায় ব্লকে ব্লকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি হয়েছিল। আর আগামী শীতেই রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের রাজ্য সরকারের বড় হাতিয়ার হতে পারে এই শিবিরগুলি। কারণ ভোটের আগের যদি রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুফল গ্রামীণ জনতার হাতে তুলে দেওয়া যায়, তার ফল যে হাতেনাতে পাওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছে বিগত বিধানসভা নির্বাচন।
যদিও, রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এর সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ আগে থেকেই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি স্থির ছিল। পুজোর ছুটির আমেজ কেটে গেলেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হবে। তবে বাংলার রাজনীতির কারবারিদের মতে, যে কর্মসূচি মমতাকে বাংলায় তৃতীয় বার মসনদে ফিরিয়েছে, সেই কর্মসূচিকে ব্যবহার করে ফের গ্রামীণ বাংলা জয় করতে সেই মোক্ষম তাসটি ব্যবহার করবেন তিনি, এটাই স্বাভাবিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy