এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ফাইল চিত্র।
নির্দেশ আসত বাংলাদেশ থেকে। সেই অনুযায়ী এ-পার বাংলায় জঙ্গি সংগঠন প্রসারের কাজ চলছিল বলে জানতে পেরেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। তাদের দাবি, প্রতিবেশী দেশে আল-কায়দার শাখা আনসার-উল-বাংলার চাঁইয়ের নির্দেশেই অসম ও পশ্চিমবঙ্গে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি জঙ্গিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গোয়েন্দারা জানান, ওই বাংলাদেশি জঙ্গি চাঁইয়ের নাম আবু তালহা বা আবদুল্লা। তার নির্দেশ মেনেই পশ্চিমবঙ্গে আল-কায়দার সংগঠন বিস্তারের কাজ চালাচ্ছিল উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের খড়িবাড়ি থেকে ধৃত জঙ্গি আব্দুর রকিব সরকার ওরফে হাবিবুল্লা ওরফে হাবিব। অভিযোগ, সেই কাজে কয়েক জন যুবককে কাজে লাগিয়েছিল হাবিবুল্লা। সেই যুবকদের মধ্যে রয়েছে বুধবার হাবিবের সঙ্গে এসটিএফের হাতে ধরা পড়া জঙ্গি কাজি আহসানউল্লা ওরফে হাসান।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, হাবিবুল্লা ও আবু তালহার মধ্যে এক জন ‘মিডলম্যান’ আছে। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘কার কী কাজ, কার আসল নাম কী, তা জানার চেষ্টা চলছে। রবিবার শুরু হয়েছে তাদের শনাক্ত করার কাজও।’’ গোয়েন্দাদের দাবি, তালহা এর মধ্যে একাধিক বার এ-পারে এসেছে। ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নাম নিয়ে থেকেছে বিভিন্ন জায়গায়। উত্তরবঙ্গ, অসমের বাংলাদেশ সীমান্ত ছাড়াও হাবিবুল্লাকে নিয়ে দফায় দফায় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিল সে।
গোয়েন্দারা জেনেছেন, বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের সীমান্ত পেরিয়ে জনা পনেরো জঙ্গি সম্প্রতি এ দেশে ঢুকেছে। মেঘালয়ের তুরার কাছে রাখা হয়েছে তাদের। সেখানে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির পরে অসমের বরপেটার ঢাকালিয়া পাড়ার একটি ধর্মস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এসটিএফ সূত্রের খবর, অসম থেকে এই ধরনের জঙ্গিদের পশ্চিমবঙ্গে এনে থাকার ব্যবস্থা করত হাবিবুল্লা।
হাসান নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতায় যে-দু’টি জায়গায় ছিল, সেই তপসিয়ার গুলশন কলোনি এবং ধাপা এলাকার ভাড়া বাড়িতে সম্প্রতি হানা দিয়েছিল এসটিএফ। তবে তল্লাশিতে কিছু মেলেনি বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy