—প্রতীকী চিত্র।
এ-পার বাংলায় ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ’ বা জেএমবি জঙ্গিদের টাকা, জাল নথি ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য তো সে করতই। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বোমা তৈরির মশলা বা রাসায়নিক কেনার জন্যও লালু সেন ওরফে রাহুল কুমারের কাছে বাংলাদেশ থেকে নির্দেশ এসেছিল বলে জানাচ্ছে পুলিশ। জঙ্গিদের ‘লিঙ্কম্যান’ সন্দেহে বুধবার বারাসত থেকে লালুকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশি সূত্রের খবর, বোমার জন্য মশলা-রাসায়নিক কিনে বাংলাদেশে পাঠানোর ছক কষেছিল লালু। সেই জন্য বড়বাজার-সহ বিভিন্ন জায়গায় ওই রাসায়নিকের খোঁজ করছিল সে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রের খবর, লালুকে জেরা করে দিল্লির ফরিদাবাদে তার অফিসে শুক্রবার তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। জানার চেষ্টা করেন, ওই অফিসে ঠিক কী ধরনের কাজকর্ম চলত বা সেখান থেকে কাদের সাহায্য করা হত। লালুর বিশাখাপত্তনমের অফিসেও এ দিন হানা দেয় পুলিশ।
গত রবিবার হরিদেবপুর থেকে জেএমবি-র ‘কলকাতা মডিউলের’ তিন সদস্য নাজিউর রহমান পাভেল, মেকাইল খান ওরফে শেখ সাব্বির এবং রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই তিন জনের লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করত লালু। জঙ্গিদের আর্থিক সহযোগিতা-সহ ‘লজিস্টিক সাপোর্ট’ দিত সে। নানা ধরনের ভুয়ো নথিপত্র বানাতেও লালু তাদের সাহায্য করেছিল।
তদন্তকারীরা জানান, নাজিউরদের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ থেকে লালুকে নির্দেশ পাঠাত জেএমবি-র আর এক সদস্য আনসার আলি ওরফে হৃদয়। গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশে বোমা তৈরির জন্য রাসায়নিক বা প্রয়োজনীয় মশলা লালুকে জোগাড় করতে বলেছিল হৃদয়ই। লালুর আমদানি-রফতানি ব্যবসার সুযোগ নিয়ে ওই মশলা বা রাসায়নিক বাংলাদেশে পাঠানোর ছক ছিল।
এক গোয়েন্দাকর্তা জানান, কলকাতায় ওই মডিউলের সদস্যেরা ‘স্লিপার সেল’ হিসেবে কাজ করছিল। প্রথমে জেহাদি কাজে উৎসাহিত করে লোক নিয়োগ করাই ছিল তাদের মূল কাজ। একই সঙ্গে এখান থেকে বোমা তৈরির মশলা কিনে তা বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে সেখানে বোমা তৈরি করে নাশকতার ছক ছিল তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশের জেলে বন্দি জেএমবি চাঁই আল আমিনের নেতৃত্বে কাজ করে হৃদয়। আর সেই হৃদয়ের নির্দেশ মেনেই লালু সব রকম সাহায্য করত এ দেশে ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে বসবাস করা নাজিউরদের।
এসটিএফ সূত্রের খবর, হৃদয়ের নির্দেশেই তিন জঙ্গি ভারতে ঢুকেছিল। এবং লালু তাতে সব দিক থেকে সাহায্য করেছিল। লালুর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনে বেশ কিছু নম্বর পাওয়া গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy