এনামুল হক। ফাইল চিত্র।
তাঁদের বিভিন্ন বাণিজ্যিক দফতর, দোকান, চালকলে ব্যাপক তল্লাশির পর থেকেই তাঁদের পাত্তা নেই। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত এনামুল হকের তিন ভাগ্নে জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবির ও মেহেদি হাসান আরব আমিরশাহিতে পালাতে পারেন বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। এই অবস্থায় সিআইডি-র আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আদালত।
সিআইডি সূত্রের খবর, দু’সপ্তাহ ধরে ওই তিন ভাইয়ের মার্বেলের দোকান, চালকল এবং কলকাতার বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয় বিপুল নথি। অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও তাঁরা আসেননি। তার পরেই সিআইডি-র তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানানো হয় এবং আদালত তা মঞ্জুর করে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ওই তিন জন আরব আমিরশাহিতেই পালিয়েছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দিকে এগোনো হবে।
দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি এনামুলকেও জেরা করতে চান সিআইডি-র তদন্তকারীরা। এই বিষয়েও আদালতে আবদেন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। সামনের সপ্তাহে সিআইডি-র একটি দলের দিল্লি গিয়ে তাঁকে জেরা করার কথা। তদন্তকারীরা জানান, জেরার পরে প্রয়োজন হলে এনামুলকে সিআইডি-র হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হতে পারে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এনামুল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারের পরে তাঁর সব ব্যবসা দেখভাল করছিলেন ওই তিন ভাগ্নে। সিআইডি তদন্ত শুরু করতেই গা-ঢাকা দেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে সিআইডি জানতে পেরেছে, মুর্শিদাবাদের চালকল ও মার্বেলের দোকান ছাড়াও তাঁদের আরও সম্পত্তি আছে। তার হদিস পেতে এ দিন ওই জেলার লালগোলার বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের অফিস ছাড়াও অন্যত্র প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy