প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের পড়়ুয়াদের পড়াশোনার সুবিধার্থে ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই ক্রেডিট কার্ডের ঋণ পাওয়ার সব শর্ত কি আদৌ সহজে ঋণ পাওয়ার অনুকূল? কলকাতা হাই কোর্টে এক আইনের পড়ুয়ার দায়ের করা মামলার শুনানিতে কার্যত এই প্রশ্নই উঠে এসেছে। ওই মামলায় বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, এই প্রকল্পের ৬, ৮ এবং ১৩ নম্বর ধারা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাঁর প্রশ্ন, প্রকল্পে বাবা-মা কিংবা অভিভাবকের সঙ্গে যৌথ ভাবে ঋণের আর্জি জানানোর কথা বলা হয়েছে। তা হলে কোনও অনাথ পড়ুয়া কি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না? বিচারপতি জানিয়েছেন, এই বিভ্রান্তিগুলি দূর করার দায়িত্ব রাজ্য সরকার। ঋণ না পেয়ে, আর্থিক অনটনে যাতে কোনও পড়ুয়া পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য না-হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও রাজ্য সরকারের।
ইরিনা মল্লিক নামে আইনের স্নাতক কোর্সের এক তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া আদালতে মামলা করেছিলেন। নিজের মামলা নিজেই লড়েছেন ইরিনা। একটি বেসরকারি আইন কলেজের পড়ুয়া ইরিনা কোর্টে জানান, তিনি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাছে আড়াই লক্ষ টাকা ঋণের আবেদন জানান। ঋণে ইরিনার সঙ্গে সহ-গ্রহীতা হিসেবে তাঁর বাবা ছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবার ‘সিবিল স্কোর’ কম থাকায় ঋণের আর্জি বাতিল হয়। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকার ঋণ শোধের ক্ষেত্রে গ্যারান্টর হলেও কোনও অভিভাবককে ঋণের সহ-গ্রহীতা হিসেবে দেখাতে হয়। তাই বাবার ‘সিবিল স্কোর’ দেখা হয়েছে বলে ব্যাঙ্ক জানায়। পোর্টালের গোলমালে ওই পড়ুয়া দ্বিতীয় বার আবেদন করতে পারেননি। রাজ্যের কৌঁসুলি আদালতে কয়েকটি ই-মেল আইডি পেশ করেন, যার মাধ্যমে মাকে ঋণের সহ-গ্রহীতা দেখিয়ে ইরিনা ফের আবেদন করতে পারেন।
সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে হাই কোর্ট জানিয়েছে, ইরিনা প্রথম সিমেস্টারের ফি দিতে পেরেছিলেন। তার পর থেকে ফি বকেয়া রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরিনা রাজ্যের দেওয়া ই-মেল আইডির মাধ্যমে পুনরায় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। তিনি আবেদন করলে ব্যাঙ্ককে তা দু’সপ্তাহের মধ্যে নিয়ম মাফিক পদক্ষেপ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও ধন্দ থাকলে ব্যাঙ্ক উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা চাইবে। তবে ব্যাঙ্কের প্রতি কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আড়াই লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার মতো কম ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিকে ব্যাঙ্কেরও চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy