বারাসত আদালতে আরাবুল।—নিজস্ব চিত্র
জোর করে জমি দখল এবং তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তৃণমূলের সেই বহিষ্কৃত নেতা আরাবুল ইসলামকে পাঁচ দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত।
একটি সরকারি সংস্থা কাছে তোলা চাওয়া, চাহিদা অনুযায়ী টাকা না-পেয়ে ওই সংস্থার কর্মীদের মারধর এবং বোমাবাজির অভিযোগে আরাবুলকে রবিবার গ্রেফতার করেছিল রাজারহাট থানার পুলিশ। তাঁর নামে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগ ছাড়াও তোলাবাজি, খুনের হুমকি-সহ মোট সাতটি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালেই কড়া নিরাপত্তায় আরাবুলকে বারাসত আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালত-চত্বরে আরাবুলের পরিবার ছাড়াও ছিলেন ভাঙড় এলাকার প্রচুর মানুষ। আরাবুলের পরনে ছিল আকাশি রঙের ফুল শার্ট আর জিনস। তাঁর সঙ্গেই আদালতে আনা হয় এই মামলায় অভিযুক্ত লক্ষ্মণ ঘোষকে।
আদালতের বাইরে আরাবুলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘আপনাকে কি ফাঁসানো হয়েছে?’’
‘‘কী আর বলব,’’ অতি সংক্ষেপে জবাব দেন আরাবুল।
বেলা ৩টে নাগাদ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মধুমিতা রায়ের এজলাসে তোলা হয় আরাবুলকে। তাঁর আইনজীবী গোপাল হালদার ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রায় এক ঘণ্টা সওয়াল করেন।
তাঁরা আদালতে জানান, গরিব মানুষের জমি কেড়ে নিয়ে বহুতল আবাসন গড়ছে বহু প্রোমোটার। সেই কাজে বাধা দিয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভাঙড়-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। তাই তাঁকে ফাঁসিয়েছে প্রোমোটার চক্র। সরকারি আইনজীবী বিকাশরঞ্জন দে অবশ্য আদালতে জানান, বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তের প্রয়োজনেই আরাবুলকে পুলিশি হাজতে রাখা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy