মাধ্যমিকে সপ্তম স্থানাধিকারী অপূর্ব নস্কর
প্রতিনিয়ত বদলে চলেছে পৃথিবী। সময়ের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বদলে চলেছি আমরাও। বদলে যাওয়া এই জীবনের অনেকখানি জুড়ে রয়েছে প্রযুক্তি। যে প্রযুক্তি আমাদের প্রত্যেককে উন্নত থেকে উন্নততর সমাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। যে প্রযুক্তি এক সুচারু আলোকময় বিশ্বের পথ-সন্ধান দিচ্ছে।
নমস্কার! আমি অপূর্ব নস্কর। মফস্বলের ছেলে। এই বছর যে কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে, আমি তাদেরই মধ্যে একজন। এই বছর আমি রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছি। বলা যায়, ভবিষ্যতে চলার পথে আমার জীবনের প্রথম স্বপ্নপূরণ। এই স্বপ্ন ছোঁয়ার যাত্রায় অভিযাত্রী হিসেবে আমি ভীষণভাবে পাশে পেয়েছি, আমার পরিবারকে, আমার বন্ধুদের, আর টিউটোপিয়াকে।
দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমি প্রথম টিউটোপিয়ার কথা শুনি। শুনেছিলাম পড়াশুনাকে নাকি এক লহমায় সহজ করে দেওয়ার জাদুমন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে এতে। বিশ্বাস করিনি। বরং নতুন প্রযুক্তির স্বাদ আস্বাদনের লক্ষ্যেই এর সাবস্ক্রিপশন নিয়েছিলাম আমি। তখন আমি সাদা-কালো হরফে পড়তে পড়তে ক্লান্ত। সেই সময় টিউটোপিয়া ছিল গ্রীষ্মের সব থেকে উষ্ণতম দিনে এক পশলা বৃষ্টি। যে বৃষ্টি আমার শিক্ষার পরবর্তী স্তরগুলি সিক্ত করেছে; সমৃদ্ধ করেছে। আমায় উপহার দিয়েছে সঠিক শিক্ষা। পড়াশুনা কি সত্যিই এত সহজ? আর্কিমিডিসের সূত্র বা কিটসের কবিতা বা খাজাঞ্চিবাবুর গল্পের গুঢ় সত্য কখনও এতটা সরল হতে পারে? টিউটোপিয়া যেন আমার ক্লান্তি দূর করে, নতুন উদ্যমে পড়াশুনার জন্য আমায় তৈরি করেছিল। যে বিষয়গুলির প্রতি বিরক্ত জন্মাচ্ছিল, সেই বিষয়গুলিকেই ধীরে ধীরে ভালবাসতে শুরু করেছিলাম আমি।
ইচ্ছেমতো ক্লাস। মজার ছলে ক্লাস। অ্যানিমেশনের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ। প্রয়োজনে চ্যাপটার ভিত্তিক নোটস্ তৈরি। টিউটোপিয়ায় ক্লাস করতে করতে কখন যে আমার সময় কেটে যেত, আমি নিজেই বুঝতে পারতাম না। শুধুমাত্র বইয়ের ভিতরে বন্দি থাকা তথ্যই নয়, কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে বহু অজানা তথ্যও আমি জানতে পেরেছিলাম টিউটোপিয়ার মাধ্যমে। যে বিজ্ঞান আমায় রীতিমতো ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল, সেই বিজ্ঞানের বিভিন্ন অ্যানিমেশন ভিডিয়ো আমায় বিজ্ঞানের প্রতি আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। ইতিহাসের মতো বিরক্তিকর বিষয়ও এতটাই জীবন্ত হয়ে উঠেছিল যে আমার বাবা পর্যন্ত অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ইংরেজি বা বাংলার মতো বিষয়ে বড় প্রশ্ন লেখার দক্ষতা বাড়িয়েছিল এখানকার ভিডিয়োগুলি। আমার এই সাফল্যের যাত্রায় যেন একজন বন্ধু, শিক্ষক ও পথ প্রদর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল টিউটোপিয়া। যেটি না থাকলে আমার কাছে হয়তো অনেক কিছুই অধরা হয়ে থেকে যেত।
আমরা যত বড় হচ্ছি, তত বুঝতে পারছি শিক্ষার গুরুত্ব কতটা। কী ভাবে এক জন শিক্ষার্থীর জীবন বদলে দিতে পারে সঠিক শিক্ষা। কিন্তু প্রত্যেক ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট দিশা প্রয়োজন। অথচ দিশা খুঁজে পাওয়ার আগে, শিক্ষার প্রাথমিক স্তরেই যদি আগ্রহ হারিয়ে যায়, তা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে অচিরেই ঘনিয়ে আসতে পারে সমূহ বিপদ। বিশেষ করে বাংলা মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এটি একটি বড় সমস্যা। প্রযুক্তির বদলকে সাক্ষী রেখে আমাদের মতো বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের কাছে টিউটোপিয়া যেন আশীর্বাদের মতো। সভ্যতার অগ্রগতি ও উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে যে অ্যাপটি শিক্ষাজগতে বিপ্লব এনে দিয়েছে। আমার আশা, এই অন্তর্জাল তন্ত্রকে কাজের লাগিয়ে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী এই অ্যাপটি ব্যবহার করে সাফল্যের সন্ধান পেতে পারে।
শেষে এবার আসি আমার কথায়। আসলে টিউটোপিয়া আমায় শুধু সফল করেনি, পড়াশুনার প্রতি আমার যে যে খামতি ছিল, সেই খামতিগুলি পূরণ করতে সাহায্য করেছে এটি। যা আদতে আমার ভবিষ্যতের ভিত শক্ত করেছে। এই ভাবে আমার পাশে থাকার জন্য টিউটোপিয়াকে ধন্যবাদ।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘টিউটোপিয়া’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy