পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে স্নাতক স্তরে ভর্তি শুরু হয়ে গিয়েছে ১০ অগস্ট। তার চার দিনের মাথায়, বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেন, করোনা আবহে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এ বার ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে আবেদন এবং তথ্য আপলোডের জন্য কোনও টাকা নিতে পারবে না।
অধ্যক্ষদের একাংশের বক্তব্য, এতে তাঁরা তো অসুবিধার মুখে পড়বেনই। সেই সঙ্গে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে পড়ুয়াদের মধ্যেও। প্রশ্ন উঠছে, প্রায় চার দিন ধরে যাঁরা ফর্ম ও নথি আপলোডের টাকা দিয়ে আবেদন করলেন, তাঁদের টাকাই বা ফেরত দেওয়া হবে কী ভাবে? এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দেননি শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের এক নির্দেশে বলা হয়েছিল, অনলাইন আবেদনে নথি আপলোড করার জন্য বিশেষ চার্জ হিসেবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ১৫০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, ভর্তি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।সেই বিভ্রান্তি কাটাতে আগের নির্দেশ বাতিল করে নতুন নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘ভর্তির ফর্ম, প্রসপেক্টাসের জন্য এ বছর কোনও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ই কোনও টাকা নিতে পারবে না। টাকা নেওয়া যাবে না ভর্তি সংক্রান্ত কোনও নথি আপলোড করার জন্যও।’’
শিক্ষা শিবিরের একাংশের মতে, পার্থবাবু বিভ্রান্তি কাটানোর কথা বললেও নতুন নির্দেশের জেরে বিভ্রান্তি আরও বাড়বে। ১০ অগস্ট থেকে চার দিনে কোনও কলেজে ১৫ হাজার, কোথাও ২০ হাজার আবেদনকারী অনলাইনে ভর্তির আবেদন সেরে ফেলেছেন। তাঁরা যদি টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি তোলেন, কোন পদ্ধতিতে তা ফেরত দেওয়া হবে? সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর জানান, ইতিমধ্যেই তাঁর কলেজে ভর্তির জন্য প্রায় ২০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে অনলাইনে। তার মধ্যে বৈধ আবেদনের সংখ্যা হাজার বারো। প্রতিটি আবেদনের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা ফেরতের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তো আছেই। আবেদনকারীরা বিক্ষোভ দেখালে কী হবে, সেই বিষয়েও তিনি চিন্তিত বলে জানান ইন্দ্রনীলবাবু। ‘‘এই নির্দেশ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে দেওয়া উচিত ছিল,’’ বলেন চিত্তরঞ্জন কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজের অধ্যক্ষ জানান, অনলাইনে আবেদনের জন্য যে-ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়, বাইরের সংস্থা সেটা বানায় এবং তার দেখভাল করে। এর জন্য কলেজের তরফে তাদের টাকা দিতে হয়। ভর্তির আবেদনের সময় পড়ুয়াদের কাছ থেকে পাওয়া টাকা থেকেই তা দেওয়া হয়। অন্য এক অধ্যক্ষের প্রশ্ন, পড়ুয়া ভর্তির আবেদনপত্র জমা দিয়ে অনলাইনে ফি মেটালে একটি রসিদ পান, যেটি তাঁর আবেদন করার প্রমাণ। শিক্ষামন্ত্রীর নতুন নির্দেশের ফলে সেই রসিদ দেওয়ার প্রশ্ন নেই। এর জন্য ওয়েবসাইটকেও ঢেলে সাজাতে হবে। তার জন্য ভর্তি প্রক্রিয়াও কয়েক দিন বন্ধ রাখতে হতে পারে। ‘‘এই নির্দেশ বাস্তবসম্মত নয়,’’ বলেন মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy