কয়লা-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ।
সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন কয়লা-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। এর আগে বেশ কয়েকবার তাঁকে তলব করা হলেও, হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছলেন লালা। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের আদেশনামাকে ঢাল করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হলেন লালা। মঙ্গলবার ১১টা নাগাদ তিনি নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেন। তাঁকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
খাদান থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা তুলে পাচারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছে ইসিএল, নিরাপত্তা সংস্থা সিআইএসএফ, রেলের একাংশের কর্মীরা। তাঁর এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগ রয়েছে রাজ্যের ‘প্রভাবশালী’ বেশ কয়েকজন ব্যক্তির। অভিযোগ, কয়লা পাচারের টাকা ঘুরপথে তাঁদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন লালা। পাচারের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্র এবং তাঁর ভাই বিকাশের। ইতিমধ্যে বিকাশকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেপ্তারও করছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, কয়লা পাচার-কাণ্ডের শিকড় রয়েছে অনেক গভীরে। কয়লা-কাণ্ডের জট খুলতে জড়িত ব্যক্তিদের একটি তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। সেই তালিকা ধরেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া।
প্রভাবশালী, রাজনৈতিক নেতারাই নয়, টাকার ভাগ পুলিশ এবং প্রশাসনের একাংশের কাছে পৌঁছেছে বলেও মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে লালাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু লালা এতদিন ‘পলাতক’ ছিলেন। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল সিবিআই। আত্মগোপন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লালা। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়ে দেয়, লালার বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। এই আদেশ কার্যকর রয়েছে আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এর পরই লালা সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন। ইতিমধ্যে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করে সিবিআই। এই টানাপড়েনের মধ্যে মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজির হয়েছেন লালা। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। তাঁকে জেরা করতে একটি প্রশ্নমালাও তৈরি রখেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy