তিহাড় থেকে বেরোনোর পর অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে কন্যা সুকন্যা। —নিজস্ব চিত্র।
দেড় বছর পরে তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার তাঁকে জামিন দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কিন্তু আইনি কাগজপত্র জমা না পড়ায় তাঁর জেলমুক্তি সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি গরু পাচারে ইডির করা মামলায় জামিন পেয়েছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। জামিন পাওয়ার পর তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। সোমবার রাতে তিহাড় জেলের তিন নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত। তাঁর পরনে ছিল হলুদ-ছাই রঙা টি-শার্ট। বাবাকে জেল থেকে আনতে গিয়েছিলেন মেয়ে সুকন্যাও।
২০২২ সালের ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকেই বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত জেলবন্দি ছিলেন।
গরু পাচার মামলায় বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে তাঁকে রাখা হয়েছিল। পরে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় কেষ্টকে। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ থেকে তিহাড়েই বন্দি ছিলেন তিনি। একই মামলায় ওই বছরের নভেম্বর মাসে ইডিও তাঁকে গ্রেফতার করে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ওই মামলাতেই তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। তার পর দিল্লির তিহাড় জেলে ঠাঁই হয়েছিল পিতা এবং কন্যার।
এর আগে বার বার জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। তাঁর আইনজীবী সওয়াল করার সময় বার বার জানান, গরু পাচার মামলায় অন্য অভিযুক্তেরা ছাড়া পেলেও তাঁর মক্কেলকে আটকে রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করা হয় বার বার। সওয়ালে তারা জানায়, এই মামলায় অনুব্রতই মূল অভিযুক্ত। জামিন পেলে তিনি সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। সেই যুক্তিতে বেশ কয়েক বার অনুব্রতের জামিন খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে সিবিআই এবং ইডি, দুই মামলাতেই জামিন মঞ্জুর হয় কেষ্টর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy