চিকিৎসকের মন্তব্যে ‘বিতর্ক’ নিজস্ব চিত্র।
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে দশম সমন দিয়েছে সিবিআই। বুধবার সকাল ১১টায় তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে যাওয়ার ‘নির্দেশ’ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি সম্ভবত যাচ্ছেন না। অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে বার বার তিনি নিজের অসুস্থতার কথা বলেছেন। মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী তাঁকে পরীক্ষা করেন। চিকিৎসকের বিস্ফোরক দাবি, তিনি প্রেসক্রিপশন নয়, স্রেফ সাদা কাগজে অনুব্রতকে বিশ্রামের পরামর্শ লিখে দেন। আর সেটা নাকি করেছেন ‘রোগী’ অনুব্রতের নির্দেশেই!
অনুব্রত কোনও বিধায়ক বা সাংসদ নন। তিনি কোনও সরকারি প্রতিনিধিও নন। তবু তাঁর বাড়িতে কেন সরকারি মেডিক্যাল দল গেল, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যা নিয়ে চিকিৎসক চন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি সরকারি কর্মচারী। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানতে বাধ্য।’’ তিনি জানান, হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর নির্দেশমাফিক কাজ করেছেন। বলেন, ‘‘আমাকে সুপার যা বলেছেন, তা-ই করেছি।’’ এমনকি, তিনি দাবি করেন, অনুব্রতের যে ‘বেড রেস্ট’ দরকার, সেটা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করেননি। তবে রোগীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে চিকিৎসক হিসেবে তাঁর মনে হয়েছে, তাঁর বিশ্রাম প্রয়োজন। চিকিৎসকের কথায়, ‘‘আমি ডঃ বুদ্ধদেব মুর্মুকে বলেছিলাম যে, ওঁর (অনুব্রত) নামে কোনও কাগজ হাসপাতাল থেকে ইস্যু করে দিন। উনি বলেছিলেন, কোনও কাগজের প্রয়োজন নেই। কোনও প্যাড নয়, সাদা কাগজেই (প্রেসক্রিপশন) লিখে দিন।’’
চন্দ্রনাথ নিজেই বলছেন, তিনি প্যাডে প্রেসক্রিপশন লেখেননি। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে একটি সাদা কাগজ চেয়ে কী কী করণীয় তা লিখেছেন। তিনি কী বুঝেছিলেন অনুব্রতকে দেখে? কতটা অসুস্থ তিনি? চন্দ্রনাথের কথায়, ‘‘ওঁর ফিশচুলার সমস্যা আছে। অসম্ভব মানসিক চাপে রয়েছেন।’’ তিনি এ-ও জানান, অনুব্রত তাঁকে অনুরোধ করেন, ‘‘আমাকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘উনি আমাকে অনুরোধ করলেন, আমাকে ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ লিখে দিন।’’ অনুব্রতের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি এক জন জননেতা। তাই তাঁর অনুরোধ তিনি ফেলতে পারেননি। তবে হাসপাতালে দেখলে এই বিতর্ক হত না বলে দাবি চিকিৎসকের। তিনি এ-ও জানান, হাসপাতালের সুপারকে বলেছিলেন, অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু উনি জানান, অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে গিয়ে দেখে আসতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy