Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

দ্বন্দ্ব ভুলে কাজের বার্তা অনুব্রতের

দ্বন্দ্ব ঠেকাতে কড়া বার্তাও দেওয়া হয় কর্মীদের। সভায় হাজির ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল।

বক্তা অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

বক্তা অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৩
Share: Save:

লোকসভা ভোটে নিজেদের অঞ্চল থেকে দেড়, দু’হাজার ভোটে জেতার আশ্বাস দিয়েছিলেন নেতারা। কিন্তু মঙ্গলকোট বিধানসভার চাণক, কৈচর ১, কৈচর ২, শিমুলিয়া২, সরগ্রাম, আলমপুর পঞ্চায়েতেই প্রায় ন’হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে দলের সংগঠন ঢেলে সাজতে উদ্যোগী হয়েছেন ওই এলাকার দলীয় পর্যবেক্ষক তথা বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

বুধবার মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম স্কুল চত্বরে তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল। সেখানে ওই চাণক ও কৈচর ১ পঞ্চায়েতে ‘নজরদারি’র জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ে দেন তিনি। দ্বন্দ্ব ঠেকাতে কড়া বার্তাও দেওয়া হয় কর্মীদের। সভায় হাজির ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল। ব্লকের ১৮টি অঞ্চল সভাপতি, প্রধান, উপপ্রধানদের বার্তা দেন তিনিও। মঞ্চ থেকে জানানো হয়, এলাকায় কোনও নেতা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কি না, কোনও সরকারি প্রকল্পে ‘কাটমানি’ নেওয়া হচ্ছে কি না, তা দেখবেন ওই কমিটির সদস্যেরা। কমিটি নিয়ন্ত্রণ করবেন অনুব্রতবাবু নিজেই।

এ দিন কৈচর ২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উজ্জ্বল শেখ অভিযোগ করেন, এলাকায় ‘কাটমানি’ নেওয়া, টুকটাক গোলমালের ঘটনা ঘটছে। এলাকায় নজর বাড়ানোর আশ্বাস দেন অনুব্রতবাবু। অঞ্চলের পুরনো তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারছেন না, এই অভিযোগে পালিগ্রাম অঞ্চল সভাপতি মজনু শেখকে ধমকও দিতে দেখা যায়। পরে অবশ্য মজনু শেখ দাবি করেন, ‘‘আমি দ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগী হলেও এলাকার অন্য নেতারা আগ্রহী নন। এতে দলেরই বদনাম হচ্ছে।’’

কাটোয়া থানা এলাকার মধ্যে থাকা তিনটি অঞ্চল সরগ্রাম, গীধগ্রাম ও আলমপুরে তৃণমূল পিছিয়ে থাকার পিছনে ওই এলাকায় ঢুকতে না পারার অভিযোগ করেন ওখানকার কর্মীরা। কাটোয়া ১ তৃণমূল সভাপতি রঞ্জিত মণ্ডলের জন্যই এলাকায় দলের ফল খারাপ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কর্মীরা। যদিও রঞ্জিতবাবুর দাবি, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার ব্লকে ৯টি অঞ্চলের মধ্যে ৩টি মঙ্গলকোট বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত। মঙ্গলকোটের ব্লক সভাপতি ওখানে মাতব্বরি করতে যান। তাতে আমার কাজে অসুবিধা হয়।’’ মঙ্গলকোটের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর পাল্টা, ‘‘কে, কি করছেন সেটা স্থানীয়রা জানেন। দলের উপরতলাতেও জানিয়েছি।’’ রঞ্জিতবাবুকে দ্বন্দ্ব ভুলে কাজ করার বার্তা দেন অনুব্রত। মঞ্চ থেকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি), নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হতেও নিষেধ করেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Mangalkot Anubrata Mandal TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy